নিউজ ভিশন রিপোর্টঃ
নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতকে।নারীদের ঘরবন্দীত্ব থেকে মুক্তি,অসহায়দের সাহায্য এবং নারীর সামাজিক উন্নয়নে রোকেয়া সাখাওয়াতকে মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।তারই মতো এই যেন এক অন্য রোকেয়া,নাম ফাতিমা আনকিস ডেইজি। বাংলাদেশ নারী কল্যান সমিতির কেন্দ্রীয় সভানেত্রী।কক্সবাজারের সবার কাছে ডেইজি আপা নামেই বেশী পরিচিত।
ফাতিমা আনকিস ডেইজি নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছেন দীর্ঘ ৩০ বছর। পেশায় একজন ফ্যামিলি ওয়াল ফেয়ার ভিজিটর হলেও, পেশা কখনো তার নারী উন্নয়ন বান্ধব কাজের বাধা হতে পারে নি।পুরুষশাসিত এই সমাজে নারীদের সমঅধিকার এবং মর্যাদা রক্ষার লক্ষ্যে, ঘরে ঘরে গিয়ে উঠান বৈঠকসহ নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদেরকে শিক্ষা ও আত্মনির্ভরশীল হতে গ্রহণ করে নানা উদ্যোগ।নারীদের কর্মসংস্থান ও স্বাবলম্বী করতে গড়ে তুলেন একাধিক নারী কল্যান সমিতি।এছাড়াও প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ জাতীয় ও ধর্মীয় বিভিন্ন দিবস সমূহে নারীদের জন্য তার নেওয়া উদ্যোগ গুলো চোখে পড়ার মতো। কক্সবাজারের অবহেলিত নারীদের জন্য তার নিজের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে বিতরণ করা হয় ত্রাণ সামগ্রী। ব্যক্তিগত ছাড়াও বিভিন্ন এনজিও এবং সরকারি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছিয়ে দেন সমাজের অবহেলিত নারীদের দুয়ারে।
করোনার প্রাদুর্ভাবে মানুষ যখন ঘরমুখো, অনেকে চাকরি হারিয়ে অসহায় তখন তিনি বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত,পৌঁছিয়ে দিয়েছেন ত্রান।মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি তৈরী করেছেন এ্যাকশন’স টুয়ার্ড’স হিউমিনিটি।করোনা পরবর্তী সময়েও সরকারী ভাবে যখন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে তখন তিনি জেলে পরিবারকে বিতরণ করেছেন খাবার।
নারীদের সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি তিনি নারীদের নিয়ে সমাজ সংস্কারের কাজটিও করে যাচ্ছেন নিয়মিত। সদ্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা বর্জ্য অপসারণের জন্য কক্সবাজারের প্রায় ৫০০ শতাধিক নারীদের নিয়ে বর্জ্য অপসারণে নেতৃত্ব দেন
তিনি।তাঁর গঠিত এনজিও এ্যাকশন’স টুয়ার্ড’স হিউমিনিটি এর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ক্রমে পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি পরিচালনা করছেন।
একটি সুন্দর সমাজ এবং রাষ্ট্র তৈরী করতে নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।সমাজের অবহেলিত নারীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় ফাতিমা আনকিস ডেইজিদের মাধ্যমে রোকেয়ারা বেঁচে থাকুক প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।