মোঃ আশাদুল ইসলাম,
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
যে সময় শিক্ষার্থীদের ব্যস্ত থাকার কথা নিয়মিত পড়ালেখাসহ শারীরিক খেলাধুলায়, সেখানে তারা ডিজিটাল এই যুগে স্মাট ফোনের সাহায্যে জড়িয়ে পড়েছে অনলাইনের নানা রকম গেমে।
তারই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে দিন দিন ইন্টারনেটে ঝুঁকছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। করোনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইন গেম ফ্রি ফায়ার ও অন্যান্য অনলাইন খেলায় জড়িয়ে পড়ছে তারা।
শহরের বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত এ সকল উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীরা ফ্রি ফায়ার নামক গেমের নেশায় জড়িয়ে থাকছে।
পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে প্রায় ১০ বছর থেকে ২০ বছরের উঠতি বয়সের যুবকরা নিয়মিত এ্যান্ড্রোয়েড ফোন দিয়ে এসব গেমে আসক্ত হচ্ছেন। এসব বিদেশী গেম থেকে শিক্ষার্থী বা তরুণ যুবসমাজ কে ফিরিয়ে আনতে না পারলে ভবিষ্যতে ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
ফ্রি ফায়ার গেমসে আসক্ত নবম শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী জানায়, প্রথমে তার কাছে ফ্রি ফায়ার গেমস ভাল লাগত না। কিছু দিন বন্ধুদের দেখাদেখি খেলতে গিয়ে এখন সে আসক্ত হয়ে গেছে। সে আরও জানায় বর্তমানে কয়েকজন মিলে গ্রুপ তৈরি করে জুয়ার মত করে খেলা হয় এসব গেমস,যেখানে ব্যয় হয় নগত টাকা।
ফ্রি ফায়ার নামক গেমসকে মাদক দ্রব্যের নেশার চেয়ে ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করেন স্থানীয় সুধীজনরা।
এই সমস্যা থেকে আমাদের সন্তান, ভাই-বোনদের বাঁচাতে হলে অভিভাবকদের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহল, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে,
না হলে তাদের ভবিষ্যত ধ্বংসের মুখে পড়বে।
এমনবস্তায় উঠতি বয়সের কিশোর কিশোরীদের মা-বাবাসহ সমাজের সবারই খেয়াল রাখতে হবে, তারা যেন স্মাট ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার না করে।