শান্তিগঞ্জে এসএসসি ফলাফলে শীর্ষে সাতগাঁও জীবদাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও পিছিয়ে সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়
মোঃ আবু সঈদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
এসএসসি পরীক্ষা-২০২৫ এর ফলাফলে শীর্ষে
সাতগাঁও জীবদাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও পিছিয়ে রয়েছে সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ও কলেজ,
পাথারিয়া।
ফলাফল প্রকাশের পর শান্তিগঞ্জ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফলাফল নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে। শান্তিগঞ্জে ২০২৫ সালে
উপজেলার মোট ১৫ টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৩৫৩ জন শিক্ষার্থী ও ৭ টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৭৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এবারের ফলাফলে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাশের হার ৭৭.৮০℅ এবং
জিপিএ ৫ অর্জন করেছে ৮ জন শিক্ষার্থী।
যাহা ২০২৪ সালের তুলনায় পাশের হার ১৭.৭৯% অগ্রগতি হয়েছে। বিগত ২০২৪ সালে পাশের হার ছিল ৬০.০১% এবং জিপিএ ৫ অর্জন করেছিল ৫ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফলাফল বিপরীত। এবার মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাশের হার ৬০.৬৯%, যাহা ২০২৪ সালে পাশের হার ছিল ৬৭.৫৩ %। ফলাফলে দেখা যায় ২০২৪ সালের তুলনায় এ বছর পাশের হার কমেছে ৬.৮৪%।
মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করেছে বীরগাঁও ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, যার পাশের হার ৮০% এবং এবং সর্বনিম্নে রয়েছে দামোধরতপী মাহমুদপুর দাখিল মাদ্রাসা। পাশের হার ৪১.১৭%
উপজেলার শীর্ষস্থান অধিকার করেছে সাতগাঁও জীবদাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, সেখানে পাশের হার ৯১.৮৯% এবং তিনজন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তালিকায় পাসের হার ৮৯.০৬% নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গনিনগর ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে পূর্ব পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়,যাদের পাশের হার ৮৮.২৪%।
তাছাড়া, পাসের হার ৮৬.১১% নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে গাগলি নারাইনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন এবং পাগলা সরকারি মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ ৮০.৮৬% পেয়ে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। তবে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে দুইজন শিক্ষার্থী।
যে সকল উচ্চ বিদ্যালয় আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করতে পারেননি, তারা হলো-জয়সিদ্দি বসিয়াখাউরী বড়মোহা উচ্চ বিদ্যালয় ৭৯.৭৮% , জয়কলস উজানীগাঁও রশিদিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়: ৭৭.৭৮%, পঞ্চগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়: ৭৭.৪২% ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন, আব্দুল গফুর উচ্চ বিদ্যালয়,আলমপুর ৭৬.৭৯%, আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়, দরগাপাশা: ৭৬.৭১%, নোয়াখালী সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ৭৫.৬৮% ও ডুংরিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজ ৭৬.৩০%।
ফলাফলে পিছিয়ে রয়েছে বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয় ৬৬.৬৭% এবং ঈশাখপুর শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ৬৪.৭১%।
সবচেয়ে খারাপ ফলাফল অর্জন করেছে সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ,পাথারিয়া। যেখানে পাসের হার মাত্র ৫৯.০৬%। তবে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে একজন শিক্ষার্থী। সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১০১ জন এবং ফেল করেছে ৭০ জন শিক্ষার্থী।
ফলাফলে আশানুরূপ সন্তুষ্ট নন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভালো ফলাফল করলেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের অবস্থান আশানুরুপ নয়।
তবে সচেতন মহলের অভিমত, এ বছর শান্তিগঞ্জ উপজেলার ভাল ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা’র।
স্থানীয় অভিভাবকরা মনে করছেন যেসব প্রতিষ্ঠানে ফলাফল ভালো হয়েছে সেখানে শিক্ষক উপস্থিতি, শ্রেণি কার্যক্রমে,অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। অন্যদিকে, যেসব বিদ্যালয়ের ফলাফল খারাপ হয়েছে সেগুলোর শিক্ষকের সংকট ও পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতার ঘাটতিও রয়েছে বলে মনে করেন। যাহা সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, আমরা ফলাফলের ভিত্তিতে খুব শিগগিরই দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরোদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবো এবং প্রয়োজনীয় তদারকি নিশ্চিত করব।