নিউজ ডেস্ক :
উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অস্বস্তি পরাভূত করে নির্ভয়ে ভোট দিয়ে নাগরিক দায়িত্ব পালনের জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন আজ শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি এ অনুরোধ করেন। বিটিভিতে সিইসির এ ভাষণ প্রচার করা হয়।
নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো সহিংস পন্থা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ পন্থায় জনগণকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এতে জনমনে আস্থা সঞ্চারিত হয়েছিল। ঘোষিত হরতাল–অবরোধের মধ্যে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা দৃশ্যমান হচ্ছে। ট্রেন, যানবাহন, নির্বাচনকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কারা দায়ী, সেটি কমিশনের বিবেচ্য নয়।
সিইসি বলেন, ‘নাশকতা ও সহিংসতার কতিপয় সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। তারপরও অলঙ্ঘনীয় সাংবিধানিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে জনগণকে অনুরোধ করছি, আপনারা সব উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অস্বস্তি পরাভূত করে নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে এসে অবাধে মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে মূল্যবান নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন।’
জাল ভোটের প্রমাণ পেলে প্রার্থিতা বাতিল
সিইসি বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট অথবা কারচুপির প্রমাণ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। তথ্য–প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ধরনের নির্বাচনী অনিয়ম-অনাচার প্রতিহত করার আহ্বান জানান সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সব কর্মকর্তাকে আইন, বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুধাবন, প্রতিপালন ও প্রয়োগ করে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনে অবহেলা, শৈথিল্য, অসততা ও ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রগুলোর পারিপার্শ্বিক শৃঙ্খলাসহ প্রার্থী, ভোটার, নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ সর্বসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
নির্বাচন–সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো সহিংস পন্থা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ পন্থায় জনগণকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এতে জনমনে আস্থা সঞ্চারিত হয়েছিল। ঘোষিত হরতাল–অবরোধের মধ্যে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা দৃশ্যমান হচ্ছে। ট্রেন, যানবাহন, নির্বাচন কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কারা দায়ী সেটি কমিশনের বিবেচ্য নয়।