নিউজ ভিশন ডেক্স
সরকার পতনের পর সম্প্রতি সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় পরিচয়,সমন্বয়ক পরিচয় সহ বিভিন্নভাবে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছে চাঁদা আদায় করছে।সকলের কাছে আতংকের আরেক নাম চাঁদাবাজি। অতিষ্ঠ সাধারণ থেকে ব্যবসায়ী সকলে। টপ অব দ্যা কান্ট্রি হয়েছে চাঁদাবাজি। কিছুদিন আগে ঢাকায় চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা, আবার সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে গিয়ে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করে গ্রেফতার। দেশের সব অঙ্গনে এখন চাঁদাবাজির আতংকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ফেইসবুক পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন এনসিপির যুগ্ন সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। তিনি তার পোস্টে চাঁদাবাজ ও প্রশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তিনি লিখেন, শুধু চাঁদাবাজ ও দূর্নীতিবাজদের শাস্তি দিলে হবে না যারা তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যতাই চাঁদাবাজি কমবে না। পাঠকদের জন্য তার ফেইসবুক পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হল
শুধু চাঁদাবাজ আর দুর্নীতিবাজদের ধরলেই হবে না, তাদেরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে চাঁদাবাজি কখনোই বন্ধ হবে না।
গত এক মাসে দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্ত ঘুরেছি। রাজবাড়ী থেকে খুলনা, পঞ্চগড় থেকে ভোলা, যেখানেই গেছি সাধারণ মানুষ একটা প্রশ্ন বারবার করেন, “এই দুর্নীতি আর চাঁদাবাজির রাজত্ব কবে শেষ হবে?”
অপরাধী যেই হোক, তার পরিচয়, প্রভাব বা অতীত ইতিহাস যাই থাকুক, সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
চাঁদাবাজি আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইটা শুধু বিচ্ছিন্ন কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, এটা রাজনৈতিক সংস্কারের লড়াই। রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মগুলোকে তাদের নিজেদের ঘর গোছাতে হবে। আর এখন যারা রাষ্ট্রক্ষমতায়, তাদের দায়িত্ব সবচেয়ে বড়।
এই সরকার দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর ও কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি।
শুরুর দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেনি, সেই বাস্তবতা ছিল। কিন্তু এক বছর পরেও যদি আপনি সেটা করতে না পারেন, সেটার দায় আপনার।
তবে এখনও সময় আছে। এই সরকার যদি সাহসী পদক্ষেপ নেয়, রাজনৈতিক প্রভাবশালী হোক বা প্রশাসনিক ক্ষমতাবান, সবাইকে যদি জবাবদিহির আওতায় আনে, তাহলে মানুষ এই সরকারকে শ্রদ্ধার সাথেই স্মরণ করবে।