মুহা. ইকবাল আজাদ, ক্রীড়া প্রতিবেদক।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস এক মহামারি আকার ধারণ করেছে। ছাড় পায়নি বাংলাদেশও। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। লকডাউনের আওতায় আবদ্ধ দেশের একাধিক জেলা। গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সমাজ-সম্প্রদায়ে ছড়িয়ে গেছে করোনার হিংস্র থাবা। দেশের মানুষদের নিরাপদ রাখতে এই মহামারিতেও নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন একদল সামরিক বাহিনী এবং কিছু সংখ্যক ডাক্তার। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে এগিয়ে আসা এসব মানুষদের সালাম জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য মুশফিকুর রহিম। আজ (মঙ্গলবার) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজের এক ভিডিওতে এসব কথা জানান।
করোনা ভাইরাসে সরকারি সাধারণ ছুটির মেয়াদ বেড়েছে। কিন্তু সামরিকবাহিনী নিয়মিত তাদের অবিশ্রাম দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি করোনা নামক রণক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সসহ সব কর্মীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের তরে সেবা করে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিংবা বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। এই সংকটে ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া প্রত্যেক মানুষকে সালাম জানিয়ে মুশফিক বলেন,
‘আপনারা জানেন সারা বিশ্ব করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আমি সকল আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য বিশেষ করে পুলিশ বাহিনী, সেনাবাহিনী, র্যাব এবং আমাদের চিকিৎসক, নার্স, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, যাঁরা প্রত্যক্ষভাবে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন যাতে আমরা নিরাপদে থাকতে পারি, তাঁদের অবশ্যই মন থেকে সালাম জানাচ্ছি এবং অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
করোনার মহামারিতে আটকে আছে দেশের প্রতিটি মানুষের কর্মসংস্থান। বন্ধ হয়ে আছে বিভিন্ন মিল, কারখানা, গার্মেন্টসসহ প্রতিটি উপার্জন খাত। লোকসান সামলাতে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের চাকরিচ্যুত করছেন। শ্রমিক, দিনমজুরদের অধিকাংশ মানুষই অনাহার কিংবা অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। কিছুদিন আগে দেশের সব ক্রিকেটাররা দেশের মানুষের জন্য তাদের বেতনের অর্ধেক প্রদান করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তামিম, সাকিব, মুশফিকসহ জাতীয়, অনুর্ধ্ব দলের অনেক ক্রিকেটার। দেশের মানুষ যেন অনাহারে না থাকে, তাদের প্রতি নজর দিতেও মুশফিক আকুল আবেদন করে বলেন,
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করছি সবাইকে সাহায্য করতে। আজকের এই দিনে সবাইকে আহ্বান করছি, যে যেভাবে পারেন সহযোগিতা করুন। মনে রাখবেন আপনি এবং আপনার পরিবারের শুধু ভালো থাকলে চলবে না। আপনার আশপাশের মানুষ তথা পুরো দেশের মানুষ যেন ভালো থাকতে পারে। সবাই যেন সুস্থ থাকতে পারে। কারও যেন খাবারের অভাবে দিন পার না করতে হয়, সেটা দেখার দায়িত্ব আমার, আপনার, সবার।’
মানুষের ঘরে থাকাই হলো করোনা প্রতিরোধের প্রধান মুক্তির পথ। মানুষকে ঘরে রাখতে বিশ্বব্যাপী তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের জনসচেতনতা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও মানুষকে ঘরে রাখতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করছেন। নিয়ম মেনে ঘরে অবস্থান করলে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব বিশ্বাস মুশফিকের।