ডেস্ক :
আজ ৩০ অক্টোবর (বুধবার) ‘শিল্প ও নৈতিকতা : নন্দনতাত্ত্বিক পর্যালোচনায় সাম্প্রতিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্র। সেমিনারটি বিকেলে লেকচার থিয়েটার ভবনের ৪র্থ তলার ৪৩৪ নং কক্ষ-মমতাজুর রহমান তরফদার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে শিল্প ও নৈতিকতা : নন্দনতাত্ত্বিক পর্যালোচনায় সাম্প্রতিক বাংলাদেশ বিষয়ে মূল বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রভাষক বেল্লাল আহমেদ ভূঞা। উক্ত বিষয়ে আলোচনা করেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মুনিরা সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল। উক্ত সেমিনারটি সঞ্চলনা করেন উচ্চতর মানববিদ্যা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম মতিউর রহমান।
বেল্লাল আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বলেন,‘শিল্পের সাথে নৈতিকতার কোনো বিরোধ নেই। প্রচলিত মত অনুযায়ী বা যারা গোঁড়ামিতে বিশ্বাসী তারা যদি মনে করে এর সাথে বিরোধ, সে ধরণের কোনো বিরোধ নেই। যে কোনো শৈল্পিক কর্মের মধ্য দিয়ে অর্থাৎ নান্দনিকতার মধ্য দিয়ে নৈতিকতা প্রকাশিত হয়। সত্য সুন্দর এবং মঙ্গলকে প্রকাশিত হয়।’
সেমিনারে সহযোগী অধ্যাপক মুনিরা সুলতানা বলেন,‘শিল্পের উদ্দেশ্য তার সৃষ্টির ইতিহাসের মধ্যেই নিহিত থাকে। নতুন করে শিল্পের উদ্দেশ্য খোঁজার দরকার নেই।
কাব্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,‘কাব্যের আবেদন তার মোরাল সেন্সের মধ্যে নয় বরং স্পীচুয়াল সেন্স এর সাথে সম্পৃক্ত।’
সভাপতির বক্তব্যে বেগম আকতার কামাল শিল্পের ইতিহাস বলতে গিয়ে বলেন,‘মানুষ তখনই শিল্প রচনা করল, যখন তারা কৃষি কাজের সূচনা করল। কেননা অবসর ছাড়া শিল্প রচনা করা যায় না। আর কৃষি কাজের সূচনা হবার সাথে সাথেই মানুষের অবসর বৃদ্ধি পায়।’
তিনি বলেন,‘সুন্দর হচ্ছে মানুষের একটা বৃত্ত। আর এর মাধ্যমেই শিল্পের সৃষ্টি হয়। তিনি আরো বলেন, শিল্পী হতে হলে শুধু শিক্ষা থাকলে হয় না, শিল্পীর মাঝে জীবনের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।’
তিনি আরও বলেন,‘শিল্প কোন দৈব প্রতিভা নয়। শিল্পী সেই হয়, প্রকৃতি যাকে নির্বাচন করে।’
নৈতিকতার বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,‘স্কুলে ছোটবেলা থেকেই নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া উচিত। নৈতিকতার শিক্ষা থাকলে আবরারের মত হত্যাকান্ড হত না। বিশ্ব শিল্প-সাহিত্য নৈতিকতার চর্চা করে। আমাদের মাঝে এসবের চর্চা থাকা উচিত।’