মিল্লাত প্রতিনিধি:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যেশ্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে এমনভাবে সংস্কারের প্রয়োজন যেন কেউ ইচ্ছে করলেই এই কমিশনকে নিয়ে খেলতে না পারে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
আব্দুল্লাহ তাহের আরো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য চায় জামায়াতে ইসলামী। পরপর দুইবার বা তারচেয়ে বেশী কেউ প্রধানমন্ত্রী হবেন না মর্মে আইন সংশোধিত করতে হবে। যারা যত পার্সেন্ট ভোট পাবে তারা তত পার্সেন্ট পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। কোন দল এক পার্সেন্টের কম ভোট পেলে সেই ভোট কাউন্ট করা হবে না— এই সকল মৌলিক বিষয় পরিবর্তনের ব্যাপারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রস্তাব রাখতে চায় এবং এসকল পরিবর্তন দ্রুততর সময়ের মধ্যে এনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা (জামায়াতে ইসলামী) দাবী জানাচ্ছি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ তাহের আরো বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের সাহায্যকারী এবং যারা তাদের সহযোগী ছিল তাদেরকে বাদ দিয়ে দেশের সকল দল ও মতের মানুষের সাথে উপর্যুক্ত কয়েকটি বিষয়ের উপরে পরামর্শ গ্রহণ করে কনসেনসাসে পৌঁছার আহ্বান করেন তিনি।
‘সাহসহীন নেতৃত্ব জাতির জন্য বোঝা’ বলে মন্তব্য করেন এই জামায়াত নেতা। দেশের নেতৃত্বে সাহসী মানুষের প্রয়োজন। আমরা চেয়েছিলাম হাসিনা পদত্যাগ করে ক্ষমতা ছেড়ে পালাবে। কিন্তু ‘শুধু পদত্যাগ নয়, দেশ ছেড়ে হাসিনা পালিয়েছে’– এটা আল্লাহর সিদ্ধান্ত ছিল বলে বক্তব্যে জানান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমীরে জামায়াত ডা. শফীকুর রহমানের একটি বক্তব্য পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেটির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। আমীরে জামায়াত তার সেই বক্তব্যের মধ্যেই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। তিনি আরো বলেন— যারা খুনী, জালেম, অবৈধ, লুটেরা, ভোটচোর এবং কালো টাকার মালিক তাদের সকলকে কঠিন বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সর্বশেষ, মাদ্রাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তা’মীরুল মিল্লাত ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কোরবান আলী, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা মিজানুর রহমানসহ শিক্ষকবৃন্দ, তা’মীরুল মিল্লাত সাংবাদিক ফোরাম (তামিসাফ), স্থানীয় সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।