ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ

জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহত ছাত্রদের স্মরণে টঙ্গী সরকারি কলেজে দোয়া ও স্মরণ সভা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ণ

Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : মির্জা নাদিম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন টঙ্গী সরকারি কলেজ।

গতকাল (২৮ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় কলেজের অডিটোরিয়াম রুমে এ আয়োজন করা হয়। এ সময় টঙ্গী সরকারি কলেজের অর্থনৈতি বিভাগের প্রফেসর লায়লা হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জুলাই বিপ্লবে টঙ্গী সরকারি কলেজের শহীদ সাকিল পারভেজ এর গর্বিত পিতা বেলায়েত হোসেন ও শহীদ ফাহমিদের গর্বিত মাতা।

এই ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন টঙ্গী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ফারজানা পারভীন,কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

এ সময় ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক জহিরুলের সঞ্চালনায় অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তথা জুলাই বিপ্লবে আমাদের কলেজের তিনজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।আমরা চাই আমাদের সন্তানদের রক্ত বৃথা না যায়। আমাদের শহীদ সন্তানরা যেভাবে এই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন আমরা যেন সেভাবে এই বাংলাদেশ গড়তে পারি। আমাদের ছাত্র শিক্ষক সহ সকল স্তরের মানুষের ঐক্যের বিকল্প নেই। ঐক্যের ভিত্তিতে শহীদের রেখে যাওয়া এই বাংলাদেশ সুন্দর বৈষম্যহীন ভাবে সাজাতে হবে।

এই সময়ে টঙ্গী সরকারি কলেজের শহীদ সাকিল পারভেজ এর বাবা বেলায়েত হোসেন এবং ফাহমিদ এর মায়ের স্মৃতিচারনে নিস্তব্ধ হয়ে যায় টঙ্গী কলেজ অডিটোরিয়াম রুম। শহীদের বাবা এবং মায়ের স্মৃতিচারণ শুনে ছাত্র শিক্ষক সকলে অশ্রু সিক্ত হয়।

এসময়ে টঙ্গী সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ স্যার বলেন, জুলাই বিপ্লবের সকল অর্জন আমাদের ছাত্রদের। যুগে যুগে দেশের সংকটে আমাদের ছাত্রসমাজ রক্ত দিয়ে ভূমিকা পালন করছেন। এই জুলাই বিপ্লবে আমার কন্যাও অংশগ্রহণ করেছেন। আমি আমার কন্যাকে এই আন্দোলনে স্বইচ্ছায় অংশ গ্রহণ করতে দিয়েছি। আমরা টঙ্গী সরকারি কলেজ পরিবার গর্বিত আমাদের টঙ্গী কলেজের সন্তানরা উত্তরার ভিতরে বীরের মত ভূমিকা পালন করছেন। আমাদের সন্তানরা অধিকার আদায়ের জন্য শহীদ হয়েছেন। শহীদ ফাহমিদ যখন শাহাদাত বরণ করেন প্রথমে আমার কন্যা আমাকে অবগত করেন। আমি অনেক অশ্রু সিক্ত অবস্থায় সাথে সাথে কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আমজাদ এবং সহযোগী অধ্যাপক শহিদুল ইসলামকে উত্তরা রাজলক্ষ্মীর ঘটনার স্থলে পাঠায়। আমরা টঙ্গী সরকারি কলেজ এর সকল শিক্ষক প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলাম জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনে। আমরা টঙ্গী সরকারি কলেজের শহীদ এবং আহত পরিবারের সাথে সব সময় থাকবো। জুলাই বিপ্লবে টঙ্গী সরকারি কলেজের গর্বিত শহীদ এবং আহত শিক্ষার্থীদের পরিবার গুলো আমাদের পরিবারে অংশ হিসেবে সবসময় থাকবেন।

23 Views

আরও পড়ুন

মো. সাইফুল ইসলামের কবিতা : প্রত্যাবর্তন

ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিবৃতি ইসলামি ছাত্র আন্দোলন জবি শাখার

নাটোরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা

ইসকনকে নিষিদ্ধ ও আইনজীবীকে হত্যার প্রতিবাদে পলাশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বুটেক্স শিক্ষার্থীদের

মৌলভীবাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ শীর্ষক কর্মশালা

শান্তিগঞ্জে এইচপিভি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন সমন্বয় কমিটির সভা

এপেক্স ক্লাব অব চকরিয়া সিটির এজিএম সম্পন্ন, শারমিন জন্নাত ফেন্সি প্রেসিডেন্ট ও ডাঃ ওম প্রকাশ সেক্রেটারি নির্বাচিত

শান্তিগঞ্জে অর্থনৈতিক শুমারী উপলক্ষে স্থায়ী কমিটির সভা

চকরিয়ার নবাগত ইউএনও আতিকুর রহমানের যোগদান

মহেশখালীতে কলেজ শিক্ষক মাহবুবকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা।