ডি এইচ মনসুর, চট্টগ্রাম :
করোনামুক্ত হয়ে ফের কাজে নেমে পড়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের রেজিস্টার ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. লক্ষ্মীপদ দাশ।
চট্রগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ডা. লক্ষ্মীপদ দাশ।
তিনি বলেন, ৬ মে দুপুরে আমার জ্বর হয়। সন্ধ্যার দিকে জ্বরের মাত্রা কিছুটা বাড়তে থাকে। এরমধ্যে রাতের দিকে একবার বমিও হয়েছিল। তার পরের দিন অর্থাৎ ৭ মে জ্বরের মাত্রা কিছুটা বাড়ে কমে। তারপরদিনও জ্বর ছিল। আমাদের বিভাগের স্যারদের সাথে পরামর্শ করে করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিই। ৯ মে সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার বুথে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসলাম। এরমধ্যেই অবশ্যই আমার উপসর্গ চলে যায়। তারপরেও রিপোর্ট নিয়ে খুব উৎকণ্ঠায় দিন কাটছিলো তখন। ১৩ মে আমার পজিটিভ আসে।
আক্রান্ত হওয়ার খবরটি আমার বিভাগীয় প্রধান ডা. প্রবীর কুমার দাশ স্যারকে জানালে তিনি বললেন, অস্থির হওয়ার কিছু নাই। আমরা সবাই তোমার সাথে আছি। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় আইসোলেশন নামের বন্দি জীবন।
যদিও পুরো সময়টা আমি বাসায় চিকিৎসা নিয়েছি।
গত ১৩ মে দ্বিতীয় স্যাম্পল ও ২৩ মে তৃতীয় স্যাম্পল দিয়ে আসি। তারপরের দিন ২৪ মে রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। করোনা থেকে মুক্ত হয়ে সম্প্রতি আবারও নেমে পড়লাম করোনা মোকাবেলার যুদ্ধে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. লক্ষ্মীপদ দাশ বলেন, করোনা আক্রান্ত হলেই প্রথম থেকেই মনোবল শক্ত রাখতে হবে। করোনা মানে মৃত্যু নয়, মনেপ্রাণে এটি ধারণ করার পাশাপাশি নিজেকে আলাদা একটি রুমে বন্দি করে ফেলার পরামর্শ দেন তিনি।