ঢাকামঙ্গলবার , ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি–আমি কি ভুলিতে পারি!

প্রতিবেদক
admin
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

মোহাম্মদ মন্‌জুরুল আলম চৌধুরী।

আমরা কি সত্যিকারভাবে আমাদের ভাইয়ের রক্তের আঁখরে লেখা অমর শহীদ দিবসকে মনে রাখতে পেরেছি। ভাষার জন্যে বিশ্বের কোথাও মানুষকে রক্ত দিতে হয়নি। করতে হয়নি আন্দোলন সংগ্রাম। ভাঙতে হয়নি ১৪৪ ধারার গণ জমায়েত। বাঙ্গালীরা বুকের তরতাজা রক্ত দিয়ে মায়ের বুলি মায়ের ভাষাকে রক্ষা করেছে । বিশ্বের দরবারে বাংলা ভাষার মর্যাদা আর সম্মানকে সমুজ্জ্বল করেছে। এখন সারা বিশ্বে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে। যে দেশের মানুষ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে সে দেশে বাংলা ভাষা অনেকভাবে উপেক্ষিত। ভাষাকে বিকৃত করছে। দেশজ কৃষ্টি সভ্যতা ঐতিহ্যকে কুলষিত করছে। ইংরেজি অক্ষর দিয়ে বাংলা ভাষা লিখতে গিয়ে বাংলা ভাষাকে বিজাতীয় ভাষায় রূপান্তরিত করছে। অনেক ক্ষেত্রে তা অশ্লীল পর্যায়ে গিয়ে ঠেকছে।

দেশের সর্ব স্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন এখনো দাবী হয়েই রয়ে গেছে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা নিচে বা এককোণে বড় অযত্নে অবহেলায় অপারগতায় সৎ মায়ের ছেলের মতো পড়ে রয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে তা ম্যাগনিফাইয়িং গ্লাস দিয়ে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। লেখাপড়ায় বাংলার উপরে ইংরেজিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা যা বিশ্বের সব প্রান্তে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সে ভাষা শিক্ষা গ্রহণে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। বরং ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় পেছনে পড়ে থাকলে দেশ ও জাতি বিশ্ব দরবারে পিছিয়ে থাকবে। তাই আগে মাতৃভাষা শিক্ষা চর্চা বিকাশ প্রসার প্রচার ঘটাতে হবে। শিক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞান গবেষণা প্রযুক্তি উদ্ভাবন বুদ্ধিমত্তায় মননশীলতা সৃষ্টিশীলতায় এগিয়ে যেতে হবে মাতৃভাষার মাধ্যমে। বাংলা ভাষাকে অবমূল্যায়ন করে যেখানে ইংরেজিতে কথা বলাকে স্মার্টনেস বলে না এটা হচ্ছে শিক্ষার দেউলিয়াপনা এবং মানবিক অধঃপতন।

একদিনের প্রভাত ফেরি, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া শ্রদ্ধা জানানো, শহীদদের আত্মত্যাগ নিয়ে আলোচনা, সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের দাবী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন মেলা, কপোত কপোতীদের ঘুরাফিরা সবকিছু মিলিয়ে দিনটিকে আমরা যেন নিছক একটি দিবসে পরিণত করে না ফেলি। আমরা যেন আমাদের নাড়ীর টান, মাটির টান, মায়ের টান, শেকড়ের টান ভুলে না যাই। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে উজ্জিবনী শক্তি নিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাভাষাকে সুষ্টু সুন্দর এবং যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। শহীদদের রক্তের প্রতি যথাযথ সম্মান মর্যাদা প্রদর্শন করতে হবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না শুধুমাত্র একমাত্র বাঙ্গালীরাই ভাষার মর্যাদার জন্য আত্মত্যাগ করেছে। আমরা বিশ্ববাসীর কাছে কৃতজ্ঞ এই কারণে আমাদের অমর শহীদ এবং ভাষা দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে পালন করছি। আসুন দেশ জাতি মানুষকে ভালবাসি এবং সম্মান করি। ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

আরও পড়ুন

আনিসুল, আনোয়ারের নেতৃত্বে ২০ দলীয় গণতান্ত্রিক জোট

কক্সবাজারে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ‘Businesses Development Training 2025’ অনুষ্ঠিত

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা : ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ

শান্তিগঞ্জে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অসন্তোষ,ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ ‎

সাংস্কৃতিক শক্তিতে বদলে যেতে পারে কক্সবাজারের পর্যটন

শিক্ষাভবনের সামনে রাতেও অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা

শিক্ষাভবনের সামনে রাতেও অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা

তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কুবির সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর

আমতলী ইসলামিয়া মাদ্রাসার গভর্ণিংবডির সভাপতি ড. মিজান ও বিদ্যুৎসাহী প্রতিনিধি মা: লুৎফর রহমান

দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হকের শেষ কর্মদিবস— বিদায় জানালেন আবেগঘন বার্তায়

রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা

ঢাকা কলেজের শিক্ষক এ.কে.এম রফিকুল আলমের বক্তব্য ভাইরাল ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দিয়েই কাউন্টার মব করতে হবে’

ঢাবি ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় চবিতে ছাত্রশিবিরের হেল্পডেক্স