শবে বরাত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি রাত যা ১৪ এবং ১৫ শাবানের মধ্যবর্তী রাতে সংঘটিত হয়। শবে বরাতকে লাইলাতুল বরাত ও বলা হয়।আরবিতে লাইল শব্দের অর্থ হলো রাত এবং বারাত শব্দের অর্থ হলো মুক্তি, ক্ষমা।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিভিন্ন রকমের নফল ইবাদতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করে। পবিত্র কুরআনে এই রাত নিয়ে সরাসরি কিছু বলা না থাকলেও হাদিসে একে ‘লাইলাতুল নিসফি মিন শা’বান’ বা ‘মধ্য শাবানের রজনী’ বলা হয়েছে।
মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকদের মতে, ৪৪৮ সনে বাইতুল মুকাদ্দাসে প্রথম এ রাতে এ সালাত আদায়ের প্রচলন শুরু হয় (মিরকাতুল মাফাতীহ ৩/৩৮৮)। আলেম ওলামাদের বিশ্বাস যে, আল্লাহ পাক এ রাতে তাঁর বান্দাদের বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। দলিল হিসেবে আল্লাহ তায়ালা সুরা দুখানে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী।’ এখানে আল্লাহ পাপী বান্দাদের সতর্ক করেছেন।
এ রাতে অধিকাংশ বান্দা নফল ইবাদত করে এবং দিনে সিয়াম পালন করে। এই রজনীকে লাইলাতুল বরাত ও বলা হয়। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা আসমানের দরজাসমূহ, রহমতের দরজাসমূহ, সুখ ও সমৃদ্ধির দরজাসমূহ খুলে দেন। আল্লাহ তায়ালা এ রাতে চতুষ্পদ পশুদের গায়ের পশমের সমপরিমাণ বান্দাগণকে জাহান্নাম হতে মুক্ত করেন এবং আগামী এক বছরের রিযিক নির্ধারণ করেন।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা দিয়েছেন যে, যারা এ রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লাকে একক সত্ত্বা জেনে তাঁর জিকির করবে, নামাজ পড়বে, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করবেও অধিক পরিমাণে ইস্তেগফার পাঠ করবে তাদের স্থান হবে জান্নাতে এবং ইতিপূর্বে যা গোনাহ করেছে সব ক্ষমা করে দেওয়া হবে।আল্লাহ পাক সবাইকে শবে বরাত এর তাৎপর্য উপলব্ধি করার তৌফিক দান করুন।