ঢাকাশনিবার , ৩ মে ২০২৫
  1. সর্বশেষ

জুমার দিনের বিশেষ আমল ও ফজিলত

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:১২ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

এনভি ডেস্ক :

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমআ এবং রমজানের মধ্যবর্তী সময়ে যে সব গোনাহ হয়ে থাকে তা পরবর্তী নামাজ, জুমআ এবং রমজান (পালনে) সে সব মধ্যবর্তী গোনাহসমূহের কাফফারা হয়ে থাকে। যদি কবিরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ (মুসলিম, তিরিমজি)

উল্লেখিত হাদিসেরর আলোকে বুঝা যায় যে, কোনো ব্যক্তি যদি ফজরের নামাজ পড়ার পর পরদিন ফজরের নামাজ আদায় করে তবে এ সময়ে মধ্যে করা সব (কবিরা গোনাহ ব্যতিত) গোনাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। অনুরূপভাবে এক জুমআ থেকে অপর জুমআ এবং এক রমজানের রোজা আদায়ের পর থেকে পরবর্তী রমজানের রোজা আদায় করে তবে ওই ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত পূর্ণ এক বছরের সব (কবিরা গোনাহ ব্যতিত) গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে।

জুমআর দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল। এগুলো মধ্যে তিনটি আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর তাহলো-
>> জুমআর দিনে ‘সুরা কাহফ’ তেলাওয়াত করা। পবিত্র কুরআনুল কারিমের ১৫তম পারার ১৮নং সুরা এটি। যদি কেউ সম্পূর্ণ সুরাটি তেলাওয়াত করতে না পারে তবে সে যেন এ সুরার প্রথম এবং শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করে।

ফজিলত
– যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর (পরবর্তী) জুমা পর্যন্ত নূর হবে।

– যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, সে আটদিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকেও মুক্ত থাকবে।

– এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত তার সব (কবিরা গোনাহ ব্যতিত) গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।

>> জুমআর দিনে বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ। যদি কোনো ব্যক্তি একবার দরূদ পড়ে তবে তার প্রতি ১০টি রহমত নাজিল হয়।

আর যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর ৮০ বার এ দরুদ পড়বে, তার ৮০ বছরের গোনাহ্ মাফ হবে এবং ৮০ বছর ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে।

দরূদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দুরুদ হচ্ছে ‘দরূদে ইবরাহিম’; যা নামাজে পড়া হয়।

>> জুমআর দিন দোয়া কবুলের কিছু সময় বা মুহূর্ত রয়েছে; সে সময়গুলোতে বেশি বেশি দোয়া ও ইসতেগফার করা।

বিশেষ করে
জুমআর দিন ও জুমআর নামাজ আদায় মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ দিন। এ দিনের প্রতিটি আমলই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমআর নামাজ পরিত্যাগ করার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (ইচ্ছা করে) অলসতাবশত তিনটি জুমআ ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা তার হৃদয়ে মোহর মেরে দেন।’ (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালেক)

পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমআর নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। জুমআর দিনের আমল ও করণীয়গুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। জুমআর দিনে মর্যাদা ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে সবাইতে মাফ করে দিন। আমিন।

426 Views

আরও পড়ুন

নালিতাবাড়ীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষক নিহত

আমরা কি সামাজিকভাবে অবক্ষয়ের পথে হাঁটছি?

কাপাসিয়ায় মহান মে দিবস উপলক্ষে ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার আদায় সম্ভব নয়: মাওলানা দেলওয়ার হোসেন

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি গঠন,সভাপতি শহীদুল,সম্পাদক আবু সঈদ

ফেনীতে এবি পার্টির সাবেক নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, জামায়াতের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

নাফনদী থেকে৪রোহিঙ্গা জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

দোয়ারাবাজারে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত

টেকনাফে পাচারকারীর ফেলে যাওয়া ইজিবাইকে মিলল৫০হাজার ইয়াবা

কাপাসিয়ায় সিভিল সার্জনকে বাঁচাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফদের ফরমায়েশি মানববন্ধন

১লা মে থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ,পরিবহন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ

শেরপুরে ভারতীয় ৫৭০ বোতল মদ উদ্ধার