অনলাইন ডেস্ক :
গাজা উপত্যকায় প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সর্বোচ্চ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ শীর্ষ নেতাদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরাইল। আজ জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্ঘাত নিয়ে আলোচনা হবে। এতে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাসও হতে পারে। ইসরাইল চাচ্ছে, যুদ্ধবিরতির আগে যত সম্ভব বেশি হামাস নেতাদের হত্যা করতে।
এবিসির খবরে এমনটাই মনে হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির আগেই হামাসের যত বেশি ক্ষতি সম্ভব করতে চাচ্ছে ইসরাইল।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় সবচেয়ে সিনিয়র হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়া ও তার ভাই মোহাম্মদের বাড়িতে আঘাত হেনেছে। এছাড়া শনিবার তারা হামাসের রাজনৈতিক শাখার সিনিয়র নেতা খলিল আল-হায়ের বাড়িও ধ্বংস করেছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিদাই জিলবারম্যান দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে সিনওয়ার বাড়িতে আঘাত হানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, সিনওয়ার ভাইয়ের বাড়িও ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি হামাসের ‘লজিস্টিক অ্যান্ড পারসানাল’ বিভাগের দায়িত্বে।
গাজায় হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব এখন আত্মগোপনে রয়েছে। ফলে হামলার সময় তাদের বাড়িতে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া পালাক্রমে তুরস্ক ও কাতারে বাস করেন।
হামাস ও ইসলামিক জিহাদ স্বীকার করেছে, সোমবার থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় তাদের ২০ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তবে ইসরাইল বলেছে, সংখ্যাটি অনেক বেশি।
গাজায় এবারের ইসরাইলি হামলা ২০১৪ সালের যুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ। এ পর্যন্ত অন্তত ১৪৯ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪১ জন শিশু ও ২৩ জন নারী। আর ইসরাইলে নিহত হয়েছে ১০ জন। এদের মধ্যে ৫ বছর বয়স্ক একটি শিশু ও এক সৈনিক রয়েছে।
সোমবার থেকে হামাস ও অন্যান্য গ্রুপ ইসরাইলে প্রায় ২,৯০০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
সূত্র : এবিসি, ডেইলি মেইল ও আল জাজিরা