শামীম পারভেজ-সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি :
গত সোমবার মেরিমাউন্টে কাজের সাইটে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এক সিঙ্গাপুর রেমিটেন্স যোদ্ধা।
২২-২৪ বছরের একটা ছেলে বাবা মায়ের ও নিজের সপ্ন পূরণ করতে আসছিলেন সপ্নের সিঙ্গাপুর। কিন্তু সেই আশা স্বপ্নই রয়ে গেলো। অনেক কস্ট ও পরিশ্রম করে বাংলাদেশে ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং করে নিজেকে কর্ম দক্ষতায় গড়ে তুলে পরীক্ষায় পাস করে স্বপ্ন পুরনের লক্ষে সিঙ্গাপুর আসছিলেন ।
যানা যায় ,কোনো এক এজেন্সির মাধ্যমে মাত্র ১৫ দিন হয়েছে সিঙ্গাপুরে এসেছেন । এখনো পারমিট কার্ড ও পাননি এই প্রবাসী !
বলেন, ২২-২৪ বছরের একটা ছেলেকে যদি লক্ষ টাকা বেতনের লোভ দেখিয়ে একটা সাপ্লাই কম্পানিতে এনে দেওয়া হয় তাহলে তো সে ছেলে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যাবেই !!
প্রত্যক্ষদর্শী প্রবাসীরা জানান, ৯/১০ লক্ষ সুদের টাকার বোঝা মাথায় দিয়ে ১লক্ষ টাকা বেতনের লোভ দেখিয়ে ২০-২২ বছরের একজন যুবককে একটা সাপ্লাই কোম্পানিতে এনে দেওয়া হয় এবং সিংগাপুর আনার পরে যদি বেতন মাত্র ৪০ হাজার হয়,তাহলে তো সে ছেলে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যাবেই–এটাই স্বাভাবিক।!!
নিহত প্রবাসী যে কোম্পানিতে এসেছে সেখানে বেতন পেতেন সর্বোচ্চ ৭০০-৭৫০ ডলার। এ বেতনে চাকরি করে উনি সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা দেশে পাঠাতে পারতেন !
তার মানে উনার ঋনের টাকা পরিশোধ করতেও ৩ বছর লাগতো।
২২ বছরের একটা কিশোরএকজন উঠতি বয়সের যুবক কি এতো টেনশন নিতে পারে ?
এ-মৃত্যুর দায় কে নেবে !! কোম্পানি না ট্রেনিং সেন্টার?? না এজেন্সি?
এ-মৃত্যুর জন্য দায়ী, বাংলাদেশের ট্রেনিং সেন্টার সহ আদম ব্যাপারীরা।
যেখানে আমাদের পাশের দেশ মায়ানমার থেকে সিঙ্গাপুরে আসতে খরচ হয় সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা –
সেখানে আমাদের খরচ হয় ৯ লক্ষ।
এগুলো কি দেখার কেউ নেই,
শুধু বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাও–এসব নিয়ে দেন দরবারের শেষ নেই।
কিন্তু যারা দৈনিক ১৪ ঘন্টা রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে কঠোর পরিশ্রম করে দেশের জন্য টাকা পাঠাচ্ছে।
আর একদল রক্ত চোষা দালাল’রা বসে বসে সেই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের রক্ত চুষছে।
প্রবাসী যুবক রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃত্যুতে প্রবাসী কমিউনিটি দেশের ট্রেনিং সেন্টার ও আদম দালাল’দের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার আহবান জানান একই সাথে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।।