ঢাকাসোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. আন্তর্জাতিক

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প : ধনী-দরিদ্র এক কাতারে

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৩:৪৮ অপরাহ্ণ

Link Copied!

————-

পাঁচ দিন আগেও চাকচিক্যে ভরা সুরম্য এক বহুতল ভবনের মালিক ছিলেন ষাটোর্ধ্ব লায়লা। গত সোমবার ভয়াবহ ভূমিকম্প থেকে কোনোমতে প্রাণে বেঁচে ফিরতে পারলেও এখন তিনি নিঃস্ব। তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায়া প্রদেশের এই নারী জানান, চারদিকে হঠাৎ শুনতে পান কান্নার রোল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখেন, তিনি প্রায় ঘরের মেঝে থেকে অন্তত সাড়ে ৫ ফুট উঁচুতে উঠছেন আর নামছেন। পুরো ভবন বারবার ঝাঁকুনি দিয়ে ঘরের সব ভেঙে পড়ছে তাঁর ওপর। এই ভূমিকম্প আর কখনোই থামবে না বলে মনে হচ্ছিল লায়লার। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবন নিয়ে ফিরতে তাঁর লেগেছিল অন্তত ৪৫ মিনিট। এই নারীর বাড়ি পুরোপুরি ধসে না পড়লেও সেটিতে আর বসবাসের অবস্থা নেই। তাই থাকছেন অন্য জায়গায় মেয়ের বাড়িতে। এখন তাঁর আর কিছুই নেই। খবর বিবিসির।

ধনী কিংবা গরিব- ওই এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়া ভবনের বেঁচে থাকা বাসিন্দারা এখনও দিনযাপন করছেন রাস্তায়। তীব্র শীতে চরম কষ্টে আছেন তাঁরা। কাঠ পুড়িয়ে তীব্র শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন নিঃস্ব এসব মানুষ।

এদিকে, ধসে পড়া ভবন ও ধ্বংসস্তূপ থেকে বাসিন্দাদের মূল্যবান জিনিস লুটের অভিযোগ উঠেছে। লায়লা তাঁর ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাপার্টমেন্ট থেকেও লুটপাটের আশঙ্কা করছেন।

হাতায়া প্রদেশের রাজধানী আন্তাকার অবস্থা আরও করুণ। ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও এখানে নেই বিদ্যুৎ, পানি কিংবা খাবারের কোনো ব্যবস্থা। অনেকেই ঠাঁই নিয়েছেন সড়কের পাশে। কেউবা গাড়িতেই থাকছেন। যাঁদের বাড়ি ধসে পড়েনি, তাঁরাও ভবনে ফেরার সাহস করছেন না। আবার তাঁদের ভবনে ফেরার অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না।

পুরোপুরি ভেঙে পড়েনি এমন এক ভবনের মালিক আন্তাকার বাসিন্দা ওষুধ আনতে ভবনে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি চান। এ সময় উদ্ধারকর্মীরা তাঁকে বলেন, ওই ওষুধ না খেলে যদি মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে, তবেই যেন ভেতরে যান, অন্যথায় নয়। পরে ওই ব্যক্তি ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওষুধসহ জরুরি জিনিস আনতে।

এই প্রদেশেরই ইস্কেন্দারুন এলাকায় ফুরিয়ে আসছে দোকানের মালপত্র। অধিকাংশ দোকানেরই তাক খালি হয়ে গেছে। পণ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মালপত্র পাচ্ছেন না দোকানিরা। তবে, যতটুকুই আছে, তা বিক্রির ক্ষেত্রে উদ্ধারকর্মীদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
ভবন নির্মাণের নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে তুরস্কে। অনেকেই মনে করেন, দুর্বলভাবে ভবন নির্মাণ করায় ভূমিকম্পে এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমের ইজমিট শহর ও আশপাশে ১৯৯৯ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১৭ হাজার মানুষ মারা যান। এর পর ২০১৮ সালে দেশটিতে নির্মাণবিধি কঠোর করা হয়।

বিশ্নেষকরা বলছেন, কঠোর আইন করলেও নির্দিষ্ট ফি দিয়ে মানহীন অনেক ভবনকে পরে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। ওই সিদ্ধান্তই এই ভূমিকম্পে বড় বিপর্যয় ডেকে এনেছে। ভূমিকম্প আঘাত হানা দক্ষিণ তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলজুড়ে ৭৫ হাজার ভবনকে ফি দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল।

এদিকে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে উঠেছে। তবে বৃহস্পতিবার সহায়তা নিয়ে ছয়টি ট্রাক ওই এলাকায় পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে শত শত মানুষ সহায়তা পাবেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

269 Views

আরও পড়ুন

পাঠকের অনূভুতিতে ❝কলিজার আধখান❞

অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে বিএনপি সন্দেহ করছে–ড. হুমায়ুন কবির

বিশ্বরূপ চন্দ্র বিশ্বাসের কবিতা:- হাসি

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণসংবর্ধনা ও কাউন্সিল শুক্রবার

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণ সমাবেশ সফল করার লক্ষে সংবাদ সম্মেলন

আইডিইবির ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের র‌্যালি ও আলোচনা সভা

দোয়ারাবাজারে এফআইভিডিবি’র স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ

বোয়ালখালীর নব যোগদানকৃত শিক্ষা অফিসার হারুন উর রশীদকে বরণ

জামালপুরে মৃত আইনজীবী হলেন অতিরিক্ত জিপি

তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসা, সাইনবোর্ড শাখার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

সাইফুল ইসলামের কবিতা : শীতের আমেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ