অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে এগিয়ে চলেছে রুশ সেনারা। এ পরিস্থিতিতে শহরটির বেসামরিক লোকজনকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাঁদের হাতে ১৮ হাজার মেশিনগান তুলে দিয়েছে সরকার। কিয়েভের রাস্তায় অস্ত্র হাতে দেখা গেছে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্টকেও। খবর বিবিসি ও সিএনএনের
স্থানীয় সময় শুক্রবার ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ভাদিম ডেনিসেনকো বলেন,
‘অস্ত্র হাতে আমাদের রাজধানীকে রক্ষা করতে চান, কিয়েভে এমন স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে ১৮ হাজার মেশিনগান সরবরাহ করা হয়েছে।’
রুশ বাহিনীকে থামাতে ইউক্রেনের সামরিক সরঞ্জাম কিয়েভে প্রবেশ করছে বলে উল্লেখ করেন ডেনিসেনকো। শহরটির বাসিন্দাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনুগ্রহ করে ভিডিও করবেন না। তাঁদের (ইউক্রেন সেনাবাহিনী) গতিবিধি ভিডিও করবেন না। আমাদের শহরকে রক্ষা করার জন্য এটি জরুরি।’
কিয়েভের সাধারণ বাসিন্দারা যখন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন অস্ত্র হাতে দেখা গেছে ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেনকোকে। সিএনএনকে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যতই সেনা, ক্ষেপণাস্ত্র আর পারমাণবিক বোমা থাকুক, তিনি কখনোই ইউক্রেন দখল করতে পারবেন না।
এর আগে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে কিয়েভের বাসিন্দাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এক পোস্টে মন্ত্রণালয় জানায়, রুশ সেনাদের গতিবিধি সরকারকে জানাতে সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মলতোভ ককটেল তৈরি করে শত্রুদের প্রতিহত করতে বলা হয়েছে।
রুশ সেনারা কিয়েভের পার্লামেন্ট থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার উত্তরের শহর ওবোলনস্কিতে ঢুকে পড়েছে বলে আজ জানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার রাত নানা আশঙ্কার মধ্যে কেটেছে কিয়েভের বাসিন্দাদের। চলছে কারফিউ। রাতভর দফায় দফায় ভেসে এসেছে বোমাবর্ষণের শব্দ। আজও শহরের কেন্দ্র থেকে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
বৃহস্পতিবারই কিয়েভের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায় রাশিয়ার সেনারা। ওবোলনস্কির কাছে হোস্তোমিল বিমানঘাঁটিতে হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া। অবশ্য হামলা প্রতিহত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।