হুমায়ুন কবির পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও পেকুয়া কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মো. ফাহিমকে কোমরে রশি বাঁধায় পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ও এ.এস আই রইচ উদ্দিনকে জবাবের নির্দেশ দিয়েছেন চকরিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
১৩ ফেব্রুয়ারী(মঙ্গলবার)দেশের জাতীয় ও স্হানীয় পত্রিকার সংবাদ আমলে নিয়ে দুই কার্য দিবসের মধ্যে আইনানুগ ব্যাখ্যা চেয়েছেন চকরিয়ার সিনিয়র জুডিঃ ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হোসাইন।
বিজ্ঞ আইনজীবী মীর মোশারফ হোসেন টিটু বলেন,আমি একজন আইনজীবী হিসেবে বলব সাধারন মানুষের শেষ আশ্রয়স্হল হচ্ছে আদালত। আজকের আদেশ তারই প্রমান। এটি একটি যুগান্তকারী আদেশ।
উল্লেখ রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নিজ বাসা থেকে ফাহিমকে আটক করে কোমরে রশি ও হাতকড়া পরিয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলান পেকুয়া থানা পুলিশ।
ফাহিমের পিতা সাহাব উদ্দিন বলেন, আমার ছেলের উপর কারো ইন্ধনে এভাবে দাগি আসামির মতো কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়া দৃষ্টিকটু।’এভাবে দাগি আসামির মতো আমার ছেলেকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ঘটনায় আমি বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই।
জাতীয় ও স্হানীয় পত্রিকার সংবাদ আমলে নিয়ে দুই কার্য দিবসের মধ্যে পেকুয়া থানার ইনচার্জ ও এ,এস,আই রইচ উদ্দিনকে আইনানুগ ব্যাখ্যা চাওয়ায় সিনিয়র জুডিঃ ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হোসাইনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য,চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত মাস দুয়েক পূর্বের একটি ঘটনায় দায়েরকৃত মারামারি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহিমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পেকুয়া থানা পুলিশ।
তবে এই ছাত্রকে হাতে হাতকড়া কোমরে রশি বেঁধে আদালতে প্রেরণ করায় ফেইসবুক ভাইরাল ও পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ঝড় উঠে।