মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা
নতুন আইপি অনুমতি পাওয়ার ১২ দিন পর হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে ভারতীয় ৩টি ট্রাকে সাড়ে ৭৮ টন পেয়াজ আমদানি করেছেন কে জি এস গ্লোবাল ট্রেড, ও এনি এন্টারপ্রাইজ নামের ২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
নতুন করে পেয়াজ আমদানি হওয়ায় প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ আড়ৎগুলোতে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ টাকা দরে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩-১৪ টাকা দরে। রমজানে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
হিলি বন্দরের আমদানিকারক রবিউল ইসলাম সুইট জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি ( আইপি) পত্রের শেষ দিন ছিলো গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার। যার ফলে ব্যবসায়ীদের আগের অনুমতির সব পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করায়। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ এর (এলসি) করা হয়। বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারসহ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে থাকে। নতুন করে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা রমজান মাস উপলক্ষে আরও বেশি বেশি এলসি করেছে। তিনি আরও বলেন,বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধির কারণে বাজারে দাম কমেছে এবং আড়ৎগুলোতে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে। অনেক আমদানি কারকের পেয়াজ পচেঁ নষ্ট হচ্ছে। তাই লোকসানের আশংকায় ব্যবসায়ীরা ১২ দিন আমদানি বন্ধ রেখেছিলো। এখন রমজান মাসে দেশের বাজারে পেয়াজের আবারও চাহিদা দেখা দিয়েছে। দাম যাতে আর না বাড়ে সে জন্য পেয়াজ আমদানি শুরু করা হয়েছে।
আমদানিকরকরা জানান, হিলি বন্দরে পযাপ্ত পরিমানের পেঁয়াজ মজুত থাকায় ১২ দিন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বন্দরে পেঁয়াজের দামে কোন প্রভাব পড়েনি বরং দিন দিন দাম কমেছে।
হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন মল্লিক জানান, হিলি বন্দর দিয়ে ১২ দিন পেয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার থেকে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি শুরু করছে আমদানিকারকরা।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, নতুন আইপি পত্রে ১১ এপ্রিল ভারতীয় ৩ ট্রাকে সাড়ে ৭৮ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই স্থলবন্দর দিয়ে।