আব্দুল মুনতাকিন জুয়েল
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উরিয়া ইউনিয়নের গুণভড়ি, কাটাদারা, হাওয়া ভবন, উদাখালি ইউনিয়নের নাড্ডার মোর নামক স্থানগুলো হয়ে উঠেছে মাদকসেবি ও মাদক ব্যবসায়ীদের অভায়ারণ্য।
কাটাদারা বিভিন্ন প্রত্যক্ষসাক্ষী ও এলাকার গণনামান্য ব্যক্তিবর্গ জানায় ফুলছড়ি উপজেলার কাটাদারা গ্রানের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে ফিরোজ মিয়া, একজন কেবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী ডিস ব্যবসার আড়ালে তিনি বিভিন্ন মাদক ব্যবসার সঙ্গে দীর্ঘ চার বছর থেকে জড়িত রয়েছেন। ওই এলাকায় তিনি ইয়াবার ডিলার ও অনলাইন জুয়ার ডিলার হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছেন। সে নিজেও একজন ইয়াবাসেবী,গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজ পরুয়া শিক্ষার্থীসহ গ্রামের যুব সমাজ সন্ধা নামলেই ইয়াবা সেবন এবং বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়। নাড্ডার মোড়, কাটা দারা, ব্রিজ সংলগ্ন ফাঁকা স্থানে, হাজিরহাটের বাধের মাথা, নদীর পাড় সহ হাওয়া ভবনের এইসব নির্দিষ্ট স্থান গুলোতেই প্রকাশ্যে দিন ও রাতে দীর্ঘদিন থেকে ইয়াবা, গাঁ’জা ও অনলাইনে জুয়ার বিভিন্ন এ্যপসের ডিলার ফিরোজ। মাদক ব্যবসায়ী ফিরোজ একাধিকবার মাদক বিক্রির এবং সেবনের দায়ে ফুলছড়ি থানা পুলিশ তাকে ইফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন । সাজা ভোগ শেষে বাসায় ফিরে এসে আবার তিনি পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করেন।
জানা যায় ফিরোজ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন,ফিরোজ উড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। এলাকার সাধারণ জনগণ তার বিরুদ্ধে ভায়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জৈনক ব্যক্তি জানান তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল পাশা কে অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান নিজেও এ ব্যাপারে তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে নাই।
তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে জীবন নাশসহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদান করেন ।
এ ব্যাপারে ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর খন্দকার মোঃ হাফিজুর রহমান জানান উপজেলায় মাদক ব্যবসাহী মাদক গ্রহণ কারীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য কাজ করছে ফুলছড়ি থানার পুলিশ। ফুলছড়ি থানায় ইয়াবা ব্যবসা করছে এমন কোন তথ্য তার জানা নেই। যদি কেউ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকে তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় এনে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।