সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ছুরিকাঘাতে
হাসান আলী (৩০) নামে এক যুবক হত্যার স্বীকার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের দ্বীনেরটুক- সুনাইত্যা গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান আলী ওই গ্রামের মো: নোয়াব আলী’র পুত্র।
নিহতের পিতা নোয়াব আলী, ভাই রুশন আলী ও
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের তেরাপুর গ্রামের হোসাইন আহমদ (নেইমার) এর মোবাইল মেরামতের দোকানে নিহত হাসান আলী’র একটি মোবাইল মেরামত করতে দেওয়া হয় কিন্তু বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলেও মোবাইলটি মেরামত করে দিতে পারেনি হোসাইন। এতে বৃহস্পতিবার সন্ধায় হাসান আলী ও হোসাইন আহমদ (নেইমার) মধ্যে মোবাইলকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্কের ঘটনা ঘটে। পরে বাজারে অবস্থানরত স্থানীয়রা বিষয়টি তাৎক্ষণিক সমাধানের লক্ষে মোবাইলটি উদ্ধার করে অন্য দোকানে মেরামত করার পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে দেয়। পরে হাসান আলী মোবাইল নিয়ে নিজের মালিকানাধীন মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। রাত ১০ টার দিকে মোবাইলের একটি ফোন কলের সুত্রধরে সে বাড়ি থেকে হেটে বের হয়ে আসে। এর কিছুক্ষণ পরেই দ্বীনেরটুক ও সুনাইত্যা গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজে হঠাৎ হাসান আলী’র চিৎকার শুনে তার ফুফাতো ভাই ইসলাম উদ্দিন দৌড়ে এগিয়ে আসলে দেখতে পায় কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী হাসান আলীকে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে দৌড়িয়ে চলে যায়৷
পরবর্তীতে তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান,যুবককে হত্যার ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যায়। পরে স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে সন্দেহভাজন কয়েকজন দুষ্কৃতকারীর নাম উঠে আসলে পুলিশ তাদের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করতে আরও সহজ হবে।