রংপুর ব্যুরো:
রংপুর নগরীর হারাগাছ থানা পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) পেয়ারুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী পারভেজ রহমান ওরফে পলাশ মিয়া দায় স্বীকার করেছেন। শুক্রবার (০১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আল মাহবুবের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক আসামি পলাশকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) রংপুরের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার বিকেলে আসামি পলাশকে আদালতে নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আল-মাহবুবের আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পলাশের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল পিবিআই। কিন্তু আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর হারাগাছের সিগারেট কোম্পানি মোড় এলাকায় মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে পারভেজ রহমান ওরফে পলাশ নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ওই মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতের শিকার হন এএসআই পেয়ারুল ইসলাম। পরদিন দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় দুটি মামলা করেছে পুলিশ। মামলা দুটির বাদী হারাগাছ থানার উপপরিদর্শক জিল্লুর রহমান। পুলিশ প্রধানের নির্দেশে মামলার তদন্ত করছে পিবিআই।
পেয়ারুল ইসলাম ২০১১ সালের ১৫ জানুয়ারি পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগ দেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের অক্টোবরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে এএসআই পদে যোগদান করেন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদানের পর তিনি সাফল্যের সঙ্গে মাহিগঞ্জ থানা, গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এবং সর্বশেষ হারাগাছ থানায় কর্মরত ছিলেন।
নিহত পেয়ারুল ইসলাম কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান মিন্টুর ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রীসহ দুই ছেলে সন্তান রেখে গেছেন।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি / এনভি