রংপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার (২০ নভেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
দুপুরে তিনি রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রংপুর বিভাগীয় অঞ্চলের শিক্ষকদের নিয়ে ‘শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার মানোন্নয়ন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
২০০১ সালে রংপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস করা হয়। সেই আইন মোতাবেক তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ক্ষমতার পালাবাবদলের পর সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি রংপুর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ টানা তিনবারের মতো সরকারে রয়েছে, এ অবস্থায় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুত রংপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, রংপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তবে এখন সেটি কি অবস্থায় আছে জানি না। ঢাকায় গিয়ে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখব।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজগুলো এমপিওর ব্যাপারে কথা হচ্ছে। এনটিআরসির মাধ্যমে আগে কিছু নিয়োগ হয়েছিল সেগুলো নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। আরও কিছু এমপিওভুক্ত করেছি। যারা বাকি রয়েছে তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু নতুন করে নেওয়ার ব্যাপারে একেবারেই নিষেধ রয়েছে।
দেশে শিক্ষিত বেকার কমাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম পরিবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্ম উপযোগী শিক্ষা প্রদানের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য কীভাবে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা যায়, এ নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। আমরা চাই একজন শিক্ষার্থী অনেক বেশি উপযোগী হয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করুক। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রংপুর জেলার পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম রব্বানী, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল প্রমুখ।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি / এনভি