বার্তা পরিবেশকঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত নুরুল আমিনের পুত্র মোঃ আলমগীর কে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ২৯ মার্চ লামা উপজেলার ইয়াংছা চেক পোষ্টে ৪জন গরুচোর ও গরু সহ জব্দের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়। উক্ত সংবাদ মোঃ আলমগীর তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে প্রচার করিলে শুরু হয় বিপত্তি। ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় কয়েকজন সংবাদকর্মীর সামনে সাহারবিল ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ২৯ মার্চ গরুচোর ধৃত হওয়ার ঘটনা, আমি ফেসবুক মারফতে জানতে পেরে, আমার ব্যক্তিগত ফেসবুকে উক্ত নিউজ শেয়ার করিলে, স্থানীয় প্রভাবশালী নবী হোসেন (প্রকাশ নবী চৌধুরী) তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও আমাকে জানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। যা রেকর্ডিং হিসেবে আমি আমার মোবাইলে সংরক্ষণ করে রেখেছি। পরবর্তীতে এ বিষয়টি কয়েকজন সাংবাদিকদের অবহিত করি। একই দিন রাত ৮টার দিকে ৪ জন সাংবাদিকের সম্মুখে নবী হোসেন কে পুনঃরায় ফোন করে হুমকি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, আবারও সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে যা সাংবাদিক সহ উপস্থিত সকলেই তার(নবী হোসেনের) বক্তব্য রেকর্ডিং করে রাখে। আমি সাংবাদিকদের বক্তব্য দেওয়ার সময় জানতে পারি, নবী হোসেন দলবল নিয়ে চৌঁয়ারফাঁড়ি বাজারে আমাকে খুঁজাখুঁজি করে নাপেয়ে আমার ঘরে গোলাগুলি, হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।
পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
কোরালখালী পুর্ব পাড়াস্থ মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র নবী হোসেন (প্রকাশ নইব্যা চোরা) অত্যাচার নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে মোঃ আলমগীর প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
গোলাগুলির বিষয়ে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিন বাবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ৩০ তারিখ রাতে চৌঁয়ারফাঁড়িতে গন্ডগুল ও গোলাগুলি হচ্ছে জানতে পেরে থানায় অবহিত করি এবং এই গোলাগুলির ঘটনা নবী হোসেনের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছে বলে নিশ্চিত হই।
এ বিষয়ে নবী হোসেনের কাছ থেকে জানতে চাইলে, মুটোফোনে তিনি বলেন- ফেসবুকে স্ট্যাটাস বিষয়ে আলমগীরের সাথে একটু বাগবিতন্ডতা হয়েছে সত্য, কিন্তু চৌঁয়ারফাঁড়ি বাজারে হামলার বিষয়ে আমি জড়িত নই। বাজারে গোলাগুলির শব্দ শুনে পুলিশ আসার খবর পেয়ে, পুলিশের সাথে ঘটনাস্থলে আমিও গিয়েছিলাম মাত্র।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, চৌঁয়ারফাঁড়িতে গোলাগুলি হচ্ছে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন করি। এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।