সাতদিনের মধ্যে সিটি করপোরেশন পূর্বের ন্যায় কার্যকর না হলে ঈদের পর রংপুর অচলের আলটিমেটাম দিয়েছেন সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে নগর ভবনের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ আলটিমেটাম দেন।
মোস্তফা বলেন, ‘এক দেশে কয়টা আইন চলে? সরকার একদিকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করছে, অন্যদিকে ভোটবর্জন করেও অন্য নেতাদের মেয়র পদে বসানো হচ্ছে। এতে দেশে আইনের শাসনের পরিবর্তে বৈষম্যমূলক শাসন চালু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নিজের দাবি আদায় করতে হলে আঙুল বাঁকা করতে হয়। সোজা আঙুলে যদি ঘি না ওঠে তাহলে সেটি বাঁকা করতে হবে। মব ভায়োলেন্স আপনারা জানেন, আপনারা শাহবাগ বন্ধ করতে জানেন। রংপুরের মানুষ জানে না?’
মোস্তফা বলেন, ‘আইন অনুযায়ী, কোনো মেয়র বা কাউন্সিলর অপসারিত হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো নির্বাচনের খবর নেই।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘টাকা ছাড়া ফাইল নড়াচড়া করে না। উপরন্তু নাগরিক সেবার বদলে জনগণের ওপর কর চাপানো হচ্ছে। দিনের ভোট রাতে, আমি-ডামি নির্বাচন কারা করেছে? এ ডিসি, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ সুপাররা করেছেন। আর দোষ দেন জনগণের ওপর।’
সমাবেশে রসিকের অপসারিত কাউন্সিলর, জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগর ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।