ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোন সময় তিস্তার পানি ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে মনে করছেন পাউবো কর্মকর্তারা।
রোববার (১২জুন) বেলা ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ স্লুইস গেট খুলে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পানি অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর চর এলাকাগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে। উজানের ভারী বর্ষণ ও ঢল নেমে আসায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে মরা তিস্তা নদী। শুকিয়ে থাকা তিস্তায় হু-হু করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নব-যৌবনে ফিরে এসেছে তিস্তায়।
ব্যারেজ পানি উন্নয়ন বোডের বন্যা পুর্বাভাস সর্তকীকরন কেন্দ্র সুত্র জানায়, গতকাল শনিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি ৫১ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে রোববার সকালে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, তিস্তা নদীর পানি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুপুর ১২টা থেকে নদীর পানি ব্যারেজ পয়েন্ট বিপদসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ধারনা করা হচ্ছে, যে কোন সময় তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। তাই দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইচ গেট খুলে রাখা হয়েছে।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি /এনভি