রংপুর ব্যুরো:
রংপুরের পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামন্ডপে ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘরে হামলার দায়দায়িত্ব প্রশাসন এড়াতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন জাসদেও সভাপতি ও সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। হামলা ঠেকানোর দায়িত্বে থাকা প্রশাসন ব্যর্থ হলো কেন? প্রশাসন কি অদক্ষ নাকি গাফিলতি আছে? প্রশাসনের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা সম্প্রদায়িক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা আছে কিনা, তা সরকারকে তা তদন্ত করে দেখতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় করিমপুর মাঝিপাড়া গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু স¤প্রদায়ের বাড়িঘর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।হাসানুল হক ইনু বলেন, যারা এ ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা দেশের ও সমাজের শত্রু।
এদের দ্রুত বিচার আইনে তিন মাসের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। দৃশ্যমান শাস্তি হলে প্রতিয়মান হবে যে হামলাকারীরা রেহাই পায় না।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনে রাষ্ট্রকে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হিন্দু ভাই-বোনদের ক্ষয়ক্ষতিতে সহায়তা, বাড়িঘর নির্মাণসহ মন্দির পুননির্মাণে রাষ্ট্রকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দেশের যে সব যায়গায় এধরণের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে রাষ্ট্রকে একই নীতি অনুসরণ করতে হবে। হিন্দুদের নিরাপত্তা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র রক্ষা ও অসাম্প্রদায়িকতা বজায় রাখার প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস বা দরকষাকষি চলবে না। যেকোনো মূল্যে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সম্প্রদায়িক উসকানি ও দেশকে অস্থিতিশীল করার পেছনে বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে হাসানুল হক ইনু বলেন, জঙ্গি সন্ত্রাসী জামায়াত-শিবিরের মাথার উপরে যতদিন পর্যন্ত বিএনপি ছাতা ধরে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত দেশে সম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলতে থাকবে। তাই এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী দলকে বয়কট করতে হবে। তবে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ নিরাপরাধ কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি করবেন না। যারা হামলাকারী সরকার তা জেনে গেছে। সুতরাং নিরীহ কাউকে ধরবেন না।
এ সময় তার সঙ্গে রংপুর জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক কুমারেশ রায়, মহানগর সভাপতি সাহিদুল ইসলাম, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুদ, সদর উপজেলা সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক, পীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মীর মোহাম্মদ মানিক, জেলা ছাত্রলীগের (জাসদ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, যুবজোট নেতা জামাল হোসেন, রংপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সভাপতি ওসমান গণি শুভ্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে সেখানে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সনজিৎ কুমার ভাট্টি। এর আগে হিন্দু বৌদ্ধ কল্যাণ ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্র ভৌমিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন এবং সংখ্যালঘুদের উপর হামলার নিন্দা জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার দাবি জানান।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি / এনভি
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০