রংপুর ব্যুরো:
রংপুরের বদরগঞ্জে হাতকড়াসহ পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না ওসমান গণি (৩৫) নামের মাদক মামলার এক আসামির।
সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া এলাকার একটি জঙ্গল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে রোববার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাকে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে সেখান থেকে পালিয়ে যান মাদক মামলার আসামি ওসমাণ ।
ওসমান গণি উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের মোস্তফাপুর বারোবিঘা গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম ও কনস্টেবল আলমগীর হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
থানা সূত্র জানায়, শনিবার (৭ আগস্ট) রাতে লোহানীপাড়া ইউনিয়নের কাঁচাবাড়ি এলাকা থেকে মাদকসহ আটক করা হয় ওসমান গণিকে। আটকের পর থেকে তিনি অসুস্থতার ভান শুরু করেন। পরে পুলিশভ্যানে রোববার (৮ আগস্ট) সকালে হাতকড়া পরা অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে তাকে ধরতে পুলিশ মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু কোথাও তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে সোমবার দুপুরে ওসমান গণি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক প্রামাণিককে ফোন করে বলেন, পুলিশের হাতকড়া নিয়ে পালানোয় সে ভুল করেছে। এজন্য চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চান। পরে চেয়ারম্যান কৌশলে তার অবস্থান জেনে নেন এবং তার দেয়া ঠিকানা মতো শেখপাড়া এলাকার একটি জঙ্গল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক বলেন, সোমবার দুপুরে ওসমান গণি ফোন করে জানায় পুলিশের কাছ থেকে পালানো বড় ভুল হয়েছে। এজন্য আমার কাছে ক্ষমা চায়। পুলিশে দেয়ার অনুরোধ করলে তার দেয়া ঠিকানা মতো পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ওসমান গণিকে গ্রেফতারে সর্বত্র সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। উপায় না পেয়ে সে পুলিশের ধরা দিতে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম ও কনস্টেবল আলমগীর হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওসমান গণির বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি /নিউজ ভিশন