রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে বেআইনিভাবে ছড়িয়ে থাকা প্রচারণা সামগ্রী আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া সকল প্রকার মিছিল-মিটিং এবং শোডাউনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১০ নবেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এই খবর দেন।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রসিক নির্বাচন।
আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী কিংবা প্রার্থীর পক্ষে সাঁটানো সকল ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডসহ প্রচার সামগ্রী অপসারণ করতে হবে। কিন্তু গত ৭ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হলেও এখনও নগরজুড়ে এসব রয়েছে। কোনো প্রার্থী যদি নিজ দায়িত্বে এসব সামগ্রী অপসারণ না করেন তাহলে তার প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, প্রার্থীরা নিজ দায়িত্বে আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রচার সামগ্রী না সরালে আচারণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচনের অন্যান্য বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। ইভিএম নিয়ে মাঠপর্যায়ে মক ভোটিং কার্যক্রম চালানো হবে। এজন্য দ্রুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রকে সিসিটিভির আওতায় আনা হবে। নির্বাচন কমিশন তা মনিটর করবে। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধসহ পুরো নির্বাচন বন্ধের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
২০১টি ভোট কেন্দ্রের ১৩৭টি কক্ষে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ দিন। ৮ ডিসেম্বর চুড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ ও ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০