রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনকে ফাঁসি আদেশ দিয়েছে আদালতের বিচারক।
রোববার বিকেলে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক তারিক হোসেন এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানাগেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার ডলসিংপুর বাউড়া কোর্ট গ্রামের মোতালেব হোসেনের কিশোরী কন্যার সাথে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে নাহিদ হাসান প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে তারা শারীরীক সম্পর্ক স্থাপন করে এতে কিশোরী মেয়েটি ৪ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হবার পর কিশোরী মেয়েটিকে তার স্বজনরা নাহিদ হাসানকে বিয়ে করার জন্য জানালে সে বিয়ে করতে অস্বিকৃতি জানায় এবং নানান টালবাহানা শুরু করে। এরই ধারাবহিকতায় ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল আসামী নাহিদ হাসান কিশোরী মেয়েটিকে মোবাইল ফোনে ডেকে আনে। এরপর বাড়ির অদুরে একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যায়। দুদিন পর নিহত মেয়েটির লাশ ভুট্টা ক্ষেতে দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী মিঠাপুকুর থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত মেয়ের বাবা মতলুব হোসেন বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ গ্রেফতার করলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন নাহিদ হাসান। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক রোববার আসামী নাহিদ হাসানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর আদেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা কারেন অতিরিক্ত পিপি এ্যাডভোকেট নয়নুর রহমান টফি এবং আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা কারেন এ্যাডভোকেট আব্দুল হক প্রমানিক।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০