গত ২৪ ঘন্টায় রংপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আব্দুল হাই (৮০) নামে এক বৃদ্ধ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মারা গেছে। আক্রান্ত হয়ে ৩১ জন। এ নিয়ে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ২শ ৮৫জন।
দীর্ঘ ৬ মাস পর রংপুর বিভাগে আজ বুধবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে এজন মারা গেল তার বাড়ি নগরীর গোমস্তপাড়া মহল্লায়। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা, আবু মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম মারা যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে গত ২৪ ঘন্টায় রংপুর বিভাগে ১শ ৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষার পর ৩১ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে তার মধ্যে রংপুরে ৮ জন , নীলফামারীতে ১৩, ঠাকুরগায়ে ৪,. দিনাজপুরে ২ এবং গাইবান্ধা জেলায় ৪জন। আক্রান্তের হার ১৭ দশমিক ৬১ ভাগ।
অন্যদিকে রংপুর ও নীলফামারী জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে গত এক সপ্তাহে রংপুর জেলায় ৮২ জন নীলফামারীতে ৫৮জন। এ ছাড়াও রংপুরে করোনা ডেডিকেটেড স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
এদিকে প্রায় চার মাস ধরে রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থাপন করা করোনা পরীক্ষার পিসিআর মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। বার বার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে পিসিআর মেশিনের অভাবে রংপুর সহ ৪ জেলার রোগীদের করেনা পরীক্ষা
পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ ও রংপুর সিএমএইচে পরীক্ষা করা হয় বলে রংপুরের সিভিল সার্জেন ডা, শামিম আহাম্মেদ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এ প্রতিনিধিকে জানান চলতি মাসের মধ্যে বিকল হয়ে পড়ে থাকা পিসিআর মেশিনটি সচল করা হতে পারে এ জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দেশে এসে পৌচেছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচবালক ডা, আবু মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিধি না মানা মুখে মাস্ক পরিধান না করা সহ বিভিন্ন কারনে করোনা সংক্রম বেড়েছে। এ জন্য আবারো প্রশাসনের উদ্যেগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।