রংপুরে অপুষ্ট ডিম ব্যবহার করে বেকারী পণ্য উৎপাদনের প্রমান মিলেছে। শনিবার দুপুরে নগরীর কেল্লাবন্দ এলাকায় বেকারীতে অভিযান পরিচালনা করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা।
এ সময় তিনি কোঁকড়ানো অপুষ্ট এ ডিমের ব্যবহার লক্ষ্য করেন। সেই সাথে ডিমের কুসুমটি ভেতরের সাদা পানির সাথে মিশ্রিত দেখতে পান। এ সময় বেকারীতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পণ্য উৎপাদন, নামধারী কোম্পানীর প্যাকেট তৈরী করে পণ্য মোড়কজাতকরণসহ হালনাগাদ কাগজপত্র না থাকার প্রমান পেলে এক মাসের মধ্যে কাগজপত্র হালনাগাদকরণ ও বেকারীর পরিবেশ উন্নয়নের শর্তে বেকারী মালিক সাইদুজ্জামানকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে রংপুরে প্রথম অপুষ্ট কোঁকড়ানো ডিমের ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ এলাকাবাসীরা। এ ডিম প্রাপ্তির উৎস সন্ধানে তারা নগরীর সিও বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে আবেদ আলীর ডিমের দোকানে এ অপুষ্ট ডিমের সন্ধান মেলে। বাজারের লোকজন কোঁকড়ানো অপুষ্ট ডিম দেখে অবাক হন এবং এ ডিম মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে পারে বলে শংঙ্কা প্রকাশ করেন।
ডিম ব্যবসায়ী আবেদ আলী বলেন, কাজী ফার্মস থেকে এই অপুষ্ট ডিম কমদামে কিনে আমি তা বেকারীতে সরবরাহ করি। শুনেছি ডিম দেয়া মুরগিগুলোর বয়স হয়ে গেলে তাদের শরীরে এক ধরনের ঔষধ প্রবেশ করানো হয়। এর ফলে ওইসব মুরগির পেটে থাকা অপরিপক্ক ডিমগুলো বেরিয়ে আসে। আর সেই ডিমগুলো কম দামে তারা আমাদের সবরাহ করে।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, সাইদুজ্জামানের বেকারীতে আমি প্রথম কোঁকড়ানো ডিমের সন্ধান পাই। এ ধরনের ডিম বাজারে কখনো দেখা যায়নি। আমরা পরীক্ষার জন্য বেকারী ও দোকান থেকে কয়েকটি ডিম জব্দ করেছি। এ ডিমটি নকল কিনা, এটি খেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি আছে কি না সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। যদি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়, তবে খামারে অভিযান পরিচালনা করে তা ধ্বংস করা হবে। অভিযানে ব্যবসায়ী আবেদ আলীকে এ ডিম বিক্রি না করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি / এনভি
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০