রংপুর ব্যুরো:
সারাদেশের ন্যায় রংপুরের মিঠা্পুকুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩য় পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সারাদেশে ৩২ হাজার ৯’’শ ৪জন পরিবারের মধ্যে জমি সহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মিঠাপুকুর উপজেলা সম্মেলনকক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে উপজেলার ২০০জন উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমি সহ ঘর হস্তান্তর করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ স্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন অর্থাৎ যাদের জমিও নেই ঘরও নেই তাদের পুনর্বাসনের জন্য নতুন করে ২০০ টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। ২ শতাংশ খাস জমিতে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে স্থায়ীত্ব ও টেকসই করার লক্ষ্যে নতুন ডিজাইনে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
এবার রাণীপুকুর ইউনিয়নে ১৫০ টি ও লতিবপুর ইউনিয়নে ৫০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব ঘরের উপকারভোগীদের নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন উপজেলা প্রশাসন। যাদের নির্বাচন করা হয়েছে সেসব পরিবারের মুখে হাঁসি ফুটেছে। তাদের মতে যাদের নুন আন্তে পান্তা ফুরায় তাদের ভাগ্যে বিল্ডিং ঘরে থাকার সৌভাগ্য হবে সেটা কখনো কল্পনায় ছিল না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সার্বিকভাবে ঘর নির্মাণ কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত দেখভাল করেন এবং তার নেতৃত্বেই বেছে বেছে ছিন্নমূল পরিবারকেই জায়গা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মোতাবেক ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। পবিত্র ঈদ উল-ফিতরের আগেই উপহার হিসেবে ঘরগুলো ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে বুঝিয়ে দেয়ার লক্ষে মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়ি ও জমির দলিল হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কর্মসূচীর আওতায় এ উপজেলায় ২’শ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে পাকা ঘর বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে রাণীপুকুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে ১৫০ ও লতিবপুর ইউনিয়নের জায়গীরহাট ইদুলপুরে ৫০ জন ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছেন পাকা ঘর।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি বাড়িতে দুইটি রুম, রান্নাঘর, বারান্দা ও বাথরুম রয়েছে। প্রকৃত ভূমিহীন পরিবার বাছাই করে তাদেরকেই বাড়িগুলো দেওয়া হচ্ছে এবং আরো ১’শ বাড়ীর বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিতরন করা হবে বলে জানান ইউএনও ফাতেমাতুজ জোহরা।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি/এনভি
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০