রংপুর ব্যুরো:
রংপুরের মিঠাপুকুরে রানীপুকুর ইউনিয়নের মমিনপুর আবাসন ব্যারাকে বাবা,ছেলের পারিবারিক কলহের জেরে হতাহতর কিছুক্ষণ পরেই বাবার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে মাত্রাতিরিক্ত চোলাইমদ সেবনের পরেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানা পুলিশ লাশ উব্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, মমিনপুর আবাসন প্রকল্পের ০৮ নং ব্যারাকের ৪ও ৫ নং -রুমে বসবাসরত আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিষনাথ ত্রীর্কি (৫২) এবং তার ছেলে পরেশ ত্রির্কী বসবাস করতেন। বিষনাথ ত্রির্কী দেশের বিভিন্ন জায়গায় শূকরের পাল চড়াতেন। কয়েকদিন আগে নিজ বাড়ি মমিনপুর আবাসনের ব্যারাকে আসলে ২৯ মার্চ মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৮ টার সময় একটি বাইসাইকেল বিক্রিকে কেন্দ্র করে বাপ ছেলের দ্বন্দের জেরে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। স্হানীয়রা সেটি মিমাংসা করে দেন, এবং বিষনাথ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিকটস্থ বাজারে যান।
মারামারির ঘন্টা খানেক পরে বিশ্বনাথ ত্রির্কী বলদিপুকুর বাজার থেকে ফেরার পর আদিবাসী পাড়ায় চোলাইমদ খেয়ে বাড়িতে ফেরেন এবং এক পর্যায়ে আহত অবস্থায় নিজ ঘরের মেঝেতে গড়াগড়ি শুরু করেন। পরিবারের এবং প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় বিষনাথকে বিছানায় তুলে স্হানীয় পল্লী চিকিৎসককে খবর দিলে, পল্লী চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিষনাথের মৃত্যু রহস্যজনক হওয়ায় প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন।