রংপুরের মিঠাপুকুরে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণীর গর্ভের শিশুটি মারা গেছে। সোমবার রাত ১১ টার দিকে শুকুরেরহাট তিলকপাড়া থেকে মিঠাপুকুর মেডিকেলে আনার পথে ওই তরুণীর গর্ভপাত ঘটে এবং শিশুটি মারা যায়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এরআগে গত ২৪ জুলাই ধর্ষণের অভিযোগে ওই প্রতিবন্ধী তরুণীর বাবা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ষক বাদশা মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মিঠাপুকুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের পশ্চিম তিলকপাড়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান প্রতিবন্ধী তরুণীকে বাড়িতে রেখে পরিবারের লোকজন বাইরে কাজ করতে যান। এই সুযোগে প্রায় মাস সাতেক আগে প্রতিবেশি বাদশা মিয়া ওই প্রতিবন্ধীকে গ্রামের একটি সেচপাম্পের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। কিন্তু, ওই তরুণী ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেননি। এভাবে কেটে যায় সাত মাস। সম্প্রতি তার শারিরিক পরিবর্তন ঘটলে পরিবারের লোকজন বিষয়টি আঁচ করেন। পরে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনাটি খুলে বলেন। গত ২৪ জুলাই একই গ্রামের ধর্ষক বাদশা মিয়াকে অভিযুক্ত করে ওই প্রতিবন্ধী তরুণীর বাবা লাল মিয়া মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ষক বাদশা মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রতিবন্ধী তরুণীর পরিবারের সদস্যরা জানান, বাদশা মিয়া পাড়া প্রতিবেশি মানুষ। আমাদের মেয়ের প্রতিবন্ধকতার সুযোগ নিয়ে সে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা তার কঠিন বিচার চাই।
মিঠাপুকুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে, অভিযুক্ত ধর্ষক বাদশা মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০