মিঠাপুকুর প্রতিনিধি:
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বেশকিছু এলাকায় মাদকের ভয়াবহতা বেড়েই চলছে। উপজেলার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বৈরাগীগন্জ ফেন্সডিল, রানীপুকুর ইউনিয়নে চোলাইমদ, ময়েনপুর ইউনিয়নের শুকরেরহাট,খোঁড়াগাছ ইউনিয়ন,বড়বালা,ছমিল বাজার,মরাহাটি, মোসলেম বাজার,শঠিবাড়ী,মিঠাপুকুর থানা সংলগ্ন গড়ের মাথাসহ কয়েকটি রুটে চলছে,ফেন্সিডিল,ইয়াবাসহ মাদকের রমরমা ব্যবসা।
পূরাতন নামধারী মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন মাদক ব্যবসায়ীরা।প্রতিদিন শতশত মাদক সেবী,দুর-দুরান্তর থেকে বাইকে ছুটছেন।এসব স্পটে মূল্যত মিঠাপুকুর টু রংপুর হাইওয়ে,মোসলেম বাজার টু ফুলবাড়ি এবং ভেন্ডাবাড়ী- টু দর্শনা, আঞ্চলিক মহাসড়কে মাদকসেবীরা দাপিয়ে বেড়ায়।সকাল,বিকাল, রাতে বাইকে করে মাদকসেবীরা ছুটছেন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।মাদক ব্যবসায়ীসহ মাদকসেবীদের হাতে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।চুরি ছিনতাইসহ এমন কি খুনের ঘটনাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত
।সাধারণ মানুষ ও তরুন প্রজন্ম বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কেন এমন উদাসীনতা?
এ বিষয়ে জানতে প্রশাসনের কয়েকজনের সাথে কথা হলে,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা জানান,কম মাদক আটক করলে,বেশী মাদকদ্রব্য আটক হয়েছে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের এমন সন্দেহ?মামলার জব্দ তালিকায় বেশি মাদক দেখানো?মাদক আটকের সময় সোর্সসিং খরচ?প্রভূতি বিষয়সহ অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজশ মাদক বৃদ্ধির মূল কারন।
এ বিষয়ে আরো জানতে,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (খ) সার্কেল মিঠাপুকুর, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিদর্শক জানান, আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তাকে প্রশ্ন করা হয় চোলাইমদ ছাড়া কেন অন্যসব মাদকদ্রব্য আটক কম হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
আরকে / এনভি
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০