রংপুর ব্যুরো:
রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুপাড়ায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঘটনার পর পরই রাতভর অভিযান চালিয়ে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এর পরদিন ফেসবুক কমেন্টসে পবিত্র কাবা শরীফের ব্যঙ্গচিত্র পোস্টের অভিযোগে পরিতোষ সরকার নামে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪ জন।
মঙ্গলবার সকালে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা রুজু হয়। দুটি মামলার বাদী পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন। এর মধ্যে একটি মামলা হয়েছে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটের ঘটনায়। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান। মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়। এই মামলায় ঘটনার পর আটক ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়।
অপর মামলাটি হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাদ্দাম হোসেন। এই মামলায় ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জয়পুর হাটের পাঁচবিবি থেকে আটক পরিতোষকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।তিনি ১৬৪ ধারায় ফেসবুকে পোস্টের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ৮টার দিকে জয়পুর হাটের পাঁচবিবি থেকে তাকে আটক করা হয়।
রোববার দুপুরের দিকে পরিতোষের ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এরপর বিকেলে মাঝিপাড়ায় হামলা করে একদল দুর্বৃত্ত। হামলাকারীরা দুটি মন্দিরসহ ৬৫টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে রাতে তারা অন্তত ২০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি / এনভি
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০