হাছান মাহমুদ সুজন, কুতুবদিয়া(কক্সবাজার) সংবাদদাতাঃ
উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক সাধক,দক্ষিণ চট্টলার অলিকুল সম্রাট গাউসে মোখতার হযরত-উল আল্লামা শাহ আব্দুল মালেক আল-কুতুবী (রহ:)’র ২১ তম বার্ষিক ওরশ ও ফাতিহা শরীফ শুক্রবার আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সকাল ৭টা হতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে দুপুরে জু’মার নামাজ ও মাহফিল শেষে শেষ দিবসে কুতুব শরীফ দরবারের পরিচালক শাহজাদা শেখ ফরিদ আল-কুতুবী (মা.জি.আ.)’র সমাপনী ভাষন ও আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে এ বার্ষিক ওরশ ও বার্ষিক ফাতিহা শরীফ সম্পন্ন হয় ।
পবিত্র ওরশ ও ফাতিহা শরীফে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে যোগদান করে ওয়াজ,জিয়ারত, মিলাদ, ক্বেয়াম ও জিকির শেষে গাউছে মুখতার হযরত বাবাজান কেবলার রুহানী মাগফেরাত কামনা,দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি কামনা করেন। অনুষ্ঠিত আখেরী মোনাজাতে এ সময় লাখো ভক্তের অশ্রুসিক্ত নয়নে আমিন আমিন ধ্বনীতে মুখরিত হয়ে আসে।
কুতুব শরীফ দরবারের ওরশ ও বার্ষিক ফাতিহা শরীফের এন্তেজামিয়া কমিটি জানান,গত ১৭ ফেব্রুয়ারী থেকে সাগর পারাপারে নানাবিধ সমস্যা উপেক্ষা করে লাখো লাখো ভক্ত অনুরক্ত ও আশেকগন দরবারের ২১তম বার্ষিক ওরশ ও ফাতিহা শরীফে যোগদান করেন।এবারের ওরশ ও বার্ষিক ফাতিহা শরীফ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে হওয়ায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর ভক্তদের সমাগম বেশি হয়েছে বলে জানান।
অলিকুল শিরোমণি হযরত আব্দুল মালেক শাহ্ (রা:)’র কুতুব শরীফ দরবারটি বাংলাদেশের মূল-ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপাঞ্চল কুতুবদিয়ায় হলেও এটি কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ আধ্যাত্মিক মিলন মেলা বলে ঐতিহাসিক ভাবে স্বীকৃত। এ বিশাল সমাবেশের শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় প্রশাসনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি নিয়োজিত থাকে দরবারের খাদেমরা। এছাড়াও ওরশ চলাকালীন সময়ে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা পর্যবেক্ষণে সি.সি ক্যামেরার আওতায় থাকে পুরো দরবার শরীফ এলাকা।