রংপুর ব্যুরো:
কালবৈশাখী ঝড়ে হাড়িভাঙ্গা আমের জন্য বিখ্যাত রংপুরের মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ, পদাগঞ্জ ও বদরগঞ্জের শ্যামপুর আম বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ঘর-বাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি ধান, ভুট্টা ও সবজি ক্ষেতেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১২টার পর থেকে থেমে থেমে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে রংপুর জেলায়।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১২ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঝড়ে বৃষ্টি কম হলেও বাতাসের বেগ ছিলো তীব্র (ঘণ্টায় ৪৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার)। যা সর্বোচ্চ ৩ মিনিট ছিল।
ঝড়ে মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ, পদাগঞ্জ ও বদরগঞ্জের শ্যামপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলের আম বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমগাছে আসা গুঁটি ঝরে গেছে। গাছের প্রায় ১৫-২০ ভাগ আম পড়ে গেছে। এরকম আর দুই চারদিন শিলা বৃষ্টি হলে এ বছর কাঙ্ক্ষিত আমের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আমচাষিদের দাবি, কালবৈশাখী ঝড়ে গুঁটি আম ঝরে পড়েছে। এ রকম আর কয়েক দিন হলে এ বছর কাঙ্ক্ষিত আমের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মিঠাপুকুরের খোরাগাছ ইউনিয়নে আম চাষি রাঙা মিয়া জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে আম গাছ উপরে পরে গেছে, ব্যাপক আম পড়েছে, এমনিতেই এবারে আম কম ধরেছে। কয়েক দফা কালবৈশাখী ঝড়ে বেশ আম পড়ে গেল।
বদরগঞ্জ লালদিঘি আম চাষি বরকত আলী জানান, গাছের আম প্রায় পড়ে গেছে। এবারে বেশ লোকসান হবে।
ঢাকা থেকে আগত আবদুল ওয়াহাব জানান, তিনি প্রতি বছর আম বাগান কেনেন, এবারও কিনেছেন কিন্তু এবারে অনেক টাকার ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে। কেননা অনেক গাছ পড়ে গেছে, আমও পড়ে গেছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম কামরুল হাসান জানান, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। আগামী দু-একদিন রংপুর অঞ্চলে আরও ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, গুটি আম ঝড়বৃষ্টি হলে কিছু পড়ে যায়, এবারের কালবৈশাখী ঝড়ে হাঁড়িভাঙা আম পড়েছে। বড় ধরনের ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি /এনভি
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০