রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বড়াইবাড়ী কলেজ থেকে ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনজন শিক্ষার্থী। আজ রোববার এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, তাদের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্লাস নিতে না পারায় এমনটি ঘটেছে।
জানা যায়, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি পরীক্ষায় ৬টি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। উপজেলার ৬টি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচটি কলেজের পাসের হার শতকরা ৯১ ভাগ। এদিকে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে বড়াইবাড়ী কলেজটি বন্ধ রয়েছে। ফলে মাত্র ৩ জন ছাত্র ভর্তি করাতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষার্থী কম ভর্তি হওয়ায় ও করোনা মহামারি কারণে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি বিভাগে শিক্ষক থাকলেও কোনো ক্লাস হয়নি।
পরীক্ষায় পাস না করার বিষয়ে পরীক্ষার্থী আক্তারুজ্জামান বলছে, ‘আমি সব কটি পরীক্ষায় ভালো দিয়েছিলাম। করোনাকালীন কলেজ বন্ধ থাকায়। বাড়িতে পড়াশোনা করেছি। তবে কি করে যে কি হলো বলতে পারলাম না।’
পরীক্ষার্থী শাহ আলমের পিতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বাড়িতে ঘর বন্দী থাকায় প্রাইভেট, কলেজে ক্লাস করতে যেতে পারেনি। এ জন্য হয়তো পরীক্ষায় ফেল করেছে। এভাবে কলেজ বন্ধ থাকলে বাচ্চারা এমনিতেই পড়ালেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। ছেলেকে সামনের পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করার জন্য বলেছি। আশা করি সামনের পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালো করবে।’
আরেক পরীক্ষার্থী মেহেদি হাসান বলেন, ‘আমি রসায়ন পরীক্ষার দিন অসুস্থ থাকার কারণে। পরীক্ষার খাতায় লিখতে পারিনি। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থাকায় ভয়ে ভয়ে পরীক্ষা দিয়েছি।’
এ বিষয়ে বড়াইবাড়ি কলেজের সভাপতি লাভলু মিয়া বলছেন, ‘কলেজের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকার কারণে কলেজটি অনেক দিন ধরে বন্ধ ছিল। এ জন্য ক্লাস করাতে পারেননি শিক্ষকেরা।’
অন্যদিকে, বড়াইবাড়ি কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম বলছেন, ‘করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকায় এমন ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে।’
এ বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে কেন ফেল করেছে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য আমার জানা নেই। তবে ব্যাপারটি তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।’
রাফিউল ইসলাম রাব্বি / এনভি