রংপুর ব্যুরো:
আত্মহত্যা নয়, আঘাত জনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী তানভীর আলম তুষারের। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রতিবেদনে।
সোমবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হারাগাছ থানার ওসি রেজাউল করিম।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দুপুরে রংপুর নগরীর সাহেবগঞ্জ এলাকার বাড়ি থেকে তানভীর আলম তুষারের মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তিনি বেরোবির অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এর আগের দিন বুধবার দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘আই কোয়াইট ফর এভার’ লিখে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তানভীর আলম তুষার। এ কারণে পরিবারসহ প্রতিবেশীদের ধারণা ছিল তুষার আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে আঘাত জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ থাকায় এখন সেই ধারণা পাল্টে গেছে।
তুষারের বাবা মোহসিন আলী বলেন, ফরেনসিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। হয়তো রাতের কোনো এক সময় কেউ বাড়িতে এসে এঘটনা ঘটিয়েছে। পরে তুষারের মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে কৌশলে পালিয়েছে। আমার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারাগাছ থানার উপপরিদশক (এসআই) আবু ছাইম বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. ইফফাত শারমিন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন উল্লেখ করেছেন আঘাত জনিত কারণে তানভীর আলম তুষারের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা মামলা দায়ের করলে আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।
হারাগাছ থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, আঘাত জনিত কারণে তুষারের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর দুপুরে তুষারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি / এনভি