রংপুর বিভাগে করোনায় থেমে থেমে বাড়ছে মৃত্যুর পরিসংখ্যান। টানা চার দিন মৃত্যুহীন থাকার পর ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে বিভাগে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সবশেষ ৩০ অক্টোবর বিভাগে করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ৩৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁওয়, কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর জেলার ২ করেসহ গাইবান্ধার ১ জন রয়েছেন। এ সময়ে দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলার দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ২৮ জন সুস্থ হয়েছেন।
এর আগের দিন বুধবার (৩ নভেম্বর) মৃত্যুহীন দিনে বিভাগে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সেদিন বিভাগে ৩৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। করোনা থেকে সুস্থ হন ১৬ জন। আর মঙ্গলবার বিভাগে ২৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয় ১২ জন। সেদিন সুস্থতার ছাড়পত্র পান ১৪ জন। শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রংপুর বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৪৩ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরে। এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩২৭ জন মারা গেছেন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৬৩ জন মারা গেছে গাইবান্ধায়। এছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫৪ জন, নীলফামারীতে ৮৯ জন, পঞ্চগড়ে ৮০ জন, কুড়িগ্রামে ৬৯ জন ও লালমনিরহাটে ৬৮ জন মারা গেছেন।
এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৩৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৫৩ হাজার ৯৬ জন।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, গণটিকাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনার ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমে আসছে। তবে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে তা উদ্বেগজনক। করোনা প্রতিরোধে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি /এনভি