মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ রংপুরের শঙ্কু সমজদারের বাড়িটি রংপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংস্কার করে বাসযোগ্য করে দিয়েছেন একজন সমাজসেবী। বাড়িটি সংস্কার করে দেয়ায় জেলা প্রশাসক ও সমাজসেবী ওয়াসীমুল বারী রাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শহীদ পরিবারটি। শহীদ শঙ্কুর স্মৃতিকে ধরে রাখতে ওই বাড়ির ফটকের দুপাশে তৈরি করা হয়েছে মূল্যবান টেরাকোটা ক্যানভাস।
গতকাল বুধবার শহীদ শঙ্কুর মা প্রায় শতবর্ষী দ্বীপালি সমজদার বলেন, মনে হচ্ছে দীর্ঘ ৫০ বছর পর আমরা আরো একবার মুক্তি পেলাম। তিনি জানান, বাড়িটি সংস্কারের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বড় ভূমিকা রেখেছেন। পুরনো সব জীর্ণ চালাঘর ভেঙে নতুন করে বিশালাকার বেশকটি শোয়ার ঘর, সেই সঙ্গে রান্না, বাথরুম ও পূজোর ঘর শোভা পাচ্ছে বাড়িটিতে।
শহীদ শঙ্কুর স্মৃতিকে ধরে রাখতে নির্মিত মূল ফটকের দুধারে নয়নাভিরাম টেরাকোটার কাজ। এখন পথচারীসহ দূর-দূরান্তের যে কোনো মানুষের সহজেই মুক্তিযুদ্ধে রংপুরে প্রথম শহীদ শঙ্কুর স্মৃতি চিহ্ন জানতে সহজ হবে।
’৭১-এএর ৩ মার্চ বিক্ষোভ মিছিলে রংপুর শহরের স্টেশন রোড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন শঙ্কু। শহরের কাচারি বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল স্টেশন রোড এলাকায় গেলে গুলিতে নিহত হন শঙ্কু। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন রংপুর কৈলাশরঞ্জন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শঙ্কু সমজদার।
রংপুর শহরের কামাল কাছনায় দীর্ঘদিন ধরে জীর্ণশীর্ণ বাড়িতে বাস করছিলেন শঙ্কুর মা প্রায় শতবর্ষী দ্বীপালি সমজদার।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি / এনভি