মোঃ সফিকুল আলম দোলন,প্রতিনিধি ,পঞ্চগড় ঃ
উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর স্বল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তীব্রতা ছড়াতে পারেনি। বেলা ৩টার দিকে তেঁতুলিয়া দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিকেল হতে না হতেই শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। রাতভর উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো টিপটিপ করে ঝরে পড়ে কুয়াশা। কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত। এরপর ধীরে ধীরে কিছুটা পরিষ্কার হয়ে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও নেই রোদের তীব্রতা। এক সপ্তাহ ধরে তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
কয়েক দিন ধরে বিকেল হতে না হতেই পঞ্চগড়ে শুরু হচ্ছে উত্তরের হিমেল বাতাস। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, থাকছে সকাল পর্যন্ত। দিনভর কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে থাকছে শীতের আমেজ। দুপুরে স্বল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও উত্তরের হিমেল বাতাসে রোদের তীব্রতা ছড়াতে পারছে না। রাতভর উত্তরের ঝিরিঝিরি ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়ছে এই জনপদের মানুষ।
পঞ্চগড় হিমালয়ের পাশের জেলা হওয়ায় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা হিম বায়ুর কারণে এই জেলায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে বলে জানান আবহাওয়াবিদেরা। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ বলেন, পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। উত্তরের হিম বায়ুর পাশাপাশি ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেশি মনে হচ্ছে। আকাশের উপরিভাগে কুয়াশা থাকায় দিনেরবেলা রোদের তীব্রতা ছড়াতে পারছে না। জানুয়ারি মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত একই রকম আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।
প্রায় প্রতিদিনই কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহনগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। সবুজ ঘাস–সবজি ক্ষেতে জমছে শিশির বিন্দু। ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়া মানুষ গরম কাপড়ের পাশাপাশি অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
সকালে শীতের মধ্যে জমিতে কাজ করছিলেন বোদা উপজেলার বালাভিড় এলাকার কৃষক মোজাহারুল ইসলাম (৬০)। তিনি বলেন, বোরো ধান রোপণের জন্য জমি ঠিক করছেন। সকালে জৈব সার দিতে বের হয়ে ঠান্ডার কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। পাওয়ার টিলারের চালক ইছারুল ইসলাম বলেন, সকালের কুয়াশায় তো ১০ হাত দূরেও দেখা যায় না। বাতাসের কারণে হাত-পা আর কানে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা লাগছে। ঠান্ডায় সেচের পানি দেওয়া জমিতে হাল দিতে আরও বেশি কষ্ট।