মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা:
মধ্যপ্রাচ্য ফেরত সোয়েব আক্তার নামের এক প্রবাসীর বাড়ীতে গত ৪ দিন থেকে স্ত্রীর দাবী নিয়ে অবস্থান করছেন রাজিয়া সুলতানা (২৮) নামের এক গার্মেন্টস কর্মি।
এদিকে গামেন্টস কর্মি রাজিয়া সুলতানা সাথী স্ত্রীর দাবী নিয়ে বাড়ীতে আসায় গাঁ ঢাকা দিয়েছেন কতিথ প্রেমিক সোয়েব আক্তার।
ঘটনাটি ঘটেছে, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চামুন্ডাই গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত সোয়েব আক্তারের বাড়ীতে।
স্ত্রীর দাবী নিয়ে আসা গার্মেন্টস কর্মি একই এলাকার উত্তর সাহাবাজপুর গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে রাজিয়া সুলতানা সাথী।
স্ত্রীর দাবী নিয়ে আসা গার্মেন্টস কর্মি সাথী বলেন, তিনি ঢাকা গাজিপুরে একটি পোষাক তৈরী ফেক্টরীতে চাকুরী করেন, সোয়েব আক্তার বিদেশে থাকা অবস্থায় তার সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়, এর পর উভায়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সোয়েব আক্তার গত এক বছর পূর্বে বিদেশ থেকে ফেরত আসার পর,ঢাকা গাজিপুরে তার সাথে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বাড়ী ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো, কিন্তু হঠাৎ সোয়েব আক্তার গত কয়েক মাস পূর্বে গ্রামের বাড়ীতে এসে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন, ও নতুন বিয়ে করে ঘরসংসার শুরু করছেন। এই খবর পেয়ে তিনি সোয়েব আক্তারের বাড়ীতে এসেছেন স্ত্রীর মর্যাদার দাবীতে। তার সঙ্গে তার পূর্বের স্বামীর একটি ১০ বছর বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছেন। তবে বিয়ের কাবিননামা তার নিকট নাই বলে জানিয়েছেন গামেন্টস কর্মি সাথী।
সোয়েব আক্তারের দেখা না পাওয়ায় এই বিষয়ে জানতে চাইলে, সোয়েব আক্তারের মা আলেমা বেগম বলেন, তার ছেলে সোয়েব আক্তার গত কয়েকদিন পূর্বে নতুন বিয়ে করেছেন, এই মেয়েকে বিয়ে করেছে কি না তা তার জানা নেই। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য সোয়েব আক্তার ও তার পিতা হেলালকে পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি দেখা যায়।
এদিকে এ ঘটনায় সোয়েব আক্তারের ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে গার্মেন্টস কর্মি রাজিয়া সুলতানা সাথীর বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উলক্ষে করা হয়েছে, অসৎ উদ্যেশে ওই মেয়ে তাদের বাড়ীতে এসে ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করছে মমের্, তাই তাকে বাড়ী থেকে অপসারনসহ ন্যায় নিচারের দাবী জানিয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি অশোক কুমার চৌহন জানান,বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন,আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। তদন্ত শেষ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।