ঢাকাবুধবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

নদী ভাঁঙ্গনে বিলিনের পথে রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন।

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
৭ জুলাই ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

মোঃ শাহ্ মানজুর, স্টাফ রিপোর্টারঃ

পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বিছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন চালিতাবুনিয়া। এখানে প্রায় বিশ হাজার মানুষের বসবাস। আগুনমূখা নদীর স্রোতের সাথে প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়ছে। সেই সাথে কমছে ভূখন্ডের আয়তন।ভিটেমাটি ও ফসলি জমি হারিয়ে কেউ হয়েছে ভূমিহীন কেউ আবার নিঃস্ব।

প্রতিনিয়ত তাদের আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যায় । অথচ তাদের রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসছে না। চালিতাবুনিয়া, উত্তর চালিতাবুনিয়া, মধ্য চালিতাবুনিয়া,বিবির হাওলা,গোলবুনিয়া গ্রামে এমন চিত্র দেখা গিয়েছে। এক সময়ের বিত্তবানরা হয়ে গেছেন গৃহহীন। এদের মধ্যে কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেনে রাস্তার উপরে কেউ আবার রাস্তার পাশে ডোবার উপরে মাচা পেতে ।

একটি মাত্র আশ্রয় কেন্দ্র, সেটিও আগুনমূখা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মাথা গোজার ঠাঁই হচ্ছেনা তাদের। বেড়িবাঁধ না থাকায় যাদের জমি আছে তাদের নেই ফসল ফলানোর সুযোগ। তাই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও টেকসই বাঁধ বসিয়ে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নকে রক্ষা করা এলাকাবাসীর এখন প্রধান দাবী।

মোঃ হাবিবুর হাওলাদার বলেন, আমাদের বাড়ি ঘর সব নদীতে ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। এখন আমাদের থাকার মত কোন জায়গা নেই।

চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদ হাওলাদার বলেন, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে প্রায় বিশ হাজার মানুষের বসবাস।ইতিমধ্যে ইউনিয়নের অনেক অংশ আগুনমূখা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি যাতে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নকে নদী ভাঙ্গন রোধে শীঘ্র যথাযথ পদক্ষেপ নেন।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া পানি উন্নায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোঃ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের প্রায় চার কিলমিটার জায়গা র্দীঘ দিন ধরে খোলা আবস্থায় আছে। এখানে বেড়িবাঁধ সহ দুইটি স্লুইস গেট নির্মাণ প্রয়োজন। এটা করতে প্রায় ২৫ কোটি টাকা দরকার। ইনটারেক্ট থেকে এত টাকা দেয়া সম্ভব হয়নি। তাই আমাকে ডিপিপি করতে বলা হয়েছে। ডিপিপি পাস হলে স্থায়ী ভাবে টেকসই বাধ নির্মাণ কাজ করতে পারবো।

58 Views

আরও পড়ুন