নিগার সুলতানা সুপ্তি, ঢাবি :
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা। মৎস্য খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের শক্ত ভীত, এটা তিনি অনুধাবন করেছিলেন অনেক আগেই। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই মৎস্যখাতের ক্রমবিকাশের সূচনা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তাঁর সুদুরপ্রসারী ভাবনা থেকে ১৯৭২ সালের ৪ জুলাই কুমিল্লার এক জনসভায় বলেছিলেন, “মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ”। জাতির পিতার দূরদর্শী পরিকল্পনায় এবং পরবর্তীতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানাবিধ বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপে মৎস্যখাতে গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে যেখানে মাছের উৎপাদন ছিল ২৫.৬৩ লক্ষ মে.টন সেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন হয়েছে ৪৩.৮৪ লক্ষ মে.টন। বর্তমানে বাংলাদেশ মৎস্য সম্পদে একটি উদ্বৃত্ত দেশ। মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির একটি অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি। মৎস্য অধিদপ্তর প্রতিবছর রাজস্ব বাজেটের আওতায় প্রাতিষ্ঠানিক ও উম্মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত করে থাকে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সমগ্র দেশের উম্মুক্ত জলাশয়ে মোট ২০০.৬৩ মে.টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
অদ্য ২৪ জুলাই ২০২০ খ্রি. তারিখ শুক্রবার সকাল ০৯.০০ ঘটিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। উক্ত কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ হামিদুর রহমান, যুগ্মসচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; জনাব মোঃ রমজান আলী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর; জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান, উপসচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; জনাব এস. এম. তারিক, উপসচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; জনাব সৈয়দ মোঃ আলমগীর, উপপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, ঢাকা বিভাগ, ঢাকা; অধ্যাপক ড. মো: গোলাম রাব্বানী, চেয়ারম্যান, মাৎস্য বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; অধ্যাপক ড. মো. ছগীর আহমেদ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; অধ্যাপক ড.হুমায়ুন আক্তার, প্রভোস্ট, ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; অধ্যাপক ড.শাহ্ মোঃ মাসুম, প্রভোস্ট, ফজলুল হক মুসলিম হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি অনুসরণপূর্বক সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল পুকুরের ১.০০ হেক্টর আয়তনের জলাশয়ে মোট ২০০ কেজি রুই জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয় । উল্লেখ্য, এর মধ্যে ১৫-১৮ সে. মি. আকারের কাতলা মাছের ৪০ কেজি পোনা , রুই মাছের ৮০ কেজি পোনা, কালিবাউস মাছের ১০ কেজি পোনা ও মৃগেল মাছের ৭০ কেজি পোনা অবমুক্ত করা হয়।
পরবর্তীতে, সকাল ১০.০০ ঘটিকায় রামকৃষ্ণ মিশন পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। উক্ত কর্মসুচীতে উপস্থিত ছিলেন জনাব সুবোল বোস মনি, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; জনাব স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ, অধ্যক্ষ, রামকৃষ্ণ মঠ ও সম্পাদক, রামকৃষ্ণ মিশন; জনাব ডা. অমিতাভ চক্রবর্ত্তী, উপসচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; জনাব মোঃ সিরাজুর রহমান, উপপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর; সৈয়দ মোঃ আলমগীর, উপপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, ঢাকা বিভাগ, ঢাকা; জনাব পুলকেশ মণ্ডল, সিনিয়র সহকারী প্রধান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; জনাব মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ঢাকা সহ মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি অনুসরণপূর্বক সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে রামকৃষ্ণ মিশন পুকুরের ০.১১ হেক্টর আয়তনের জলাশয়ে মোট ১৫০ কেজি রুই জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয় । উল্লিখিত যে এর মধ্যে ১৫-১৮ সে. মি. আকারের কাতলা মাছের ৬০ কেজি পোনা , রুই মাছের ৬০ কেজি পোনা, কালিবাউস মাছের ৭.৫ কেজি পোনা ও মৃগেল মাছের ৫২.৫ কেজি পোনা অবমুক্ত করা হয়।