নুরুল হুদা নূর একটি নাম
নীল আকাশের উজ্জল নকত্র।
দুর্গম পাহাড় গিরিপথে অঞ্চল
প্রকৃতির সুন্দর দৃশ্যে ছুয়ে যায় মনটা চঞ্চল।
জনশূন্য এলাকায় গড়ে ওঠে বসতবাড়ি
দূর-দূরান্ত ভিটে মাটি ছেড়ে, এসে দিলাম মোরা পাড়ি।
দীর্ঘ বছরে পরিপূর্ণতা অর্জনে, লোকালয় বটে!
মাতাপিতা সন্তান লাভে নতুন প্রজন্ম শিশু, পরিবারেই নিকটে।
ফুটফুটে লাল, আল্লাহর দেওয়া সন্তান
বুক ভরে যায় কানায় কানায় প্রান্তরে।
মিষ্টিমাখা মধুচেহারা দেখে, ঠাঁই নিল সবারই অন্তরে।
কয়েক বছর পেরিয়ে, ধীরে ধীরে বড় হল সন্তান
শান্ত-সুনিবিড় পরিবেশ দক্ষিণা হালকা বাতাশে-
নুরুল হুদা নূর আব্বু কাঁধে নিয়ে যাইতাম আমি,
ক্রিকেট খেলার’ই মাঠের আশেপাশে।
একটি বল ছুড়ে আসলে, আসতি দৌড়ে কাছে
নিঃস্তব্দ ভয়ে কাতরসূচক প্রাণটা তখনি বাঁচে।
একদিন হঠাৎ কোয়াশা শীতের মাস!
নুরুল হুদা নূরের জীবনে মৃত্যুর খবর আজরাঈল (আঃ) নিয়ে আসে।
সেইদিন রোববার দুপুরে!যার যে ব্যাস্ত কাজে
খোদায়ী ইশারায় পড়ে গভীর নলকূপের মাঝে।
পরিত্যক্ত নূরকে খোঁজতে খোঁজতে মা দেখে নলকূপে,
চিৎকার দিয়া বলে!কি হয়েছে তুর বাবা তুই কেন পানির চাপে।
হতবাগ মা-বাকরুদ্ব কালবৈশাখী ঝড়ের সমতূল্য
বিভীষিকাময়, ক্ষত-বিক্ষত হৃদয় ছেলেরি জন্য।
মৃত্যমুখে পতিত হল নূরকে,
এতিম,অসহায় আগুনে পুড়ার মতো দেহখানি পুড়ে আজ মা-বাবাকে।