ইয়াসির আরাফাত, কক্সবাজার :
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সড়কে যানজট নিরসনে ট্রাফিকের ভূমিকা পালন করছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।
সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইনের নির্দেশে রবিবার কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সড়কে ছাত্রলীগের একঝাঁক নেতাকর্মীরা শহরের ব্যস্ততম সড়কে নেমে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা পালন করেন। তারা দায়িত্ব পালন করায় সন্ধ্যা থেকেই হাসপাতাল সড়কে কিছুটা হলেও যানজট মুক্ত থাকে।
হাসপাতলে আশা রোগী ও পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটন বেড়ে যাওয়ায় শহরের বার্মিজ মার্কেট, বাজারঘাটাসহ কয়েকটি স্থানে যানজট লেগে থাকে। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ইজিবাইক আর ব্যাটারিচালিত অটো-রিকশা চলাচল ও যত্রতত্র স্থানে গাড়ি রাখায় যানজট নিরসনে হিমশিম খায় ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন এর নির্দেশে যানজট নিরসনে উপস্থিত ছিলেন:- মঈন উদ্দীন জনি, সামি উল হোসাইন সামি, মুজিবুল হাসান মুজিব, মোঃ রায়হান, আরহান মোঃ রুবেল, মোঃ ইসমাইল মিয়াজী, রাকিবুল ইসলাম রাহাত, ইসরাফিল খান জয়, আরমানুর ইসলাম, আবু বক্কর, আবু মুনসুর, আবু হেনা বিষাদ, বাপ্পি।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-ধর্ম সম্পাদক মঈন উদ্দীন জনি বলেন, এমনিতেই শহরের যানজট লেগে থাকে পথচারীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। পর্যটন ও রোগীদের চলার সময় যাতে কোনো প্রকার শহরে যানজন সৃষ্টি না হয় এ জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়।
তারা আরো জানান, দুইটি গ্রুপে প্রায় ২০জন নেতাকর্মী শহরের ব্যস্ততম ৩টি স্থানে যানজট নিরসনে শৃঙ্খলার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করছেন।
সে সঙ্গে যানজট এড়াতে সাবধানে চলাচলে নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত ইজিবাইক,ব্যাটারিচালিত অটো-রিকশা, রিকশা ও ভ্যান চালকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
পথচারী হাসান মিয়া বলেন, সড়ক বাজার এলাকায় এমনিতেই যানজট লেগে থাকে। ৫ মিনিটের পথ যেতে ১৫ মিনিট লেগে যায়। ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত অটো-রিকশা, রিকশা যত্রতত্র রাখায় যানজট সৃষ্টি হতো। এখন চলাচলে খুবই ভালো লাগছে কোনো প্রকার অসুবিধা হচ্ছে না।