নজরুল ইসলাম, কুতুবদিয়াঃ
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে ঘরে থাকা সোলার ব্যাটারির পানি খেয়ে মা-মেয়ের রহস্য জনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ছাদের ঘোনা গ্রামে। নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের মানিকের স্ত্রী জেসমিন আকতার প্রকাশ নয়ন মনি (২০)। নয়ন মনি একই এলাকার আবু তাহেরের মেয়ে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক মনোমালিন্যের কারণে মানিকের স্ত্রী জেসমিন আকতার প্রকাশ নয়ন মনি (২০) শুক্রবার সাড়ে চারটার দিকে তার কুলের ১০ মাসের মেয়ে শিশুকে ব্যাটারির পানি খাইয়ে নিজেও পান করেন। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের নজরে আসলে তারা শিশুটিকে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে গৃহবধূ নয়ন মনি (২০) কে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৪ মার্চ (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৫.২০ মিনিটের সময় মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি হওয়া মা ও মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সোহেল।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়।
নয়ন মনির শাশুড়ি জানান, একটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে তাদের সংসারে অশান্তি চলছিল। একদিন আগে বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল মেয়েটি। পরিবারের লোকজনের কারণে করতে পারেনি। তিনি বলেন, ১ম রোজার ইফতারের আগে আমার নাতনীকে ব্যাটারির পানি খাইয়ে দিয়ে নিজেও পান করে রুমে শুয়ে থাকে নয়ন মনি। আমার ১০ মাসের নাতনি কান্না করতে থাকলে আমরা বিষয়টি জানতে পারি।
তবে নয়ন মনির পরিবারের দাবি, তাদের মেয়েকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে সে।
এ বিষয়ে এলাকার মেম্বার ছাবের আহমদ বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানতাম না। হঠাৎ রাত ১ টার দিকে নয়ন মনির শশুর বাড়ি থেকে ফোন করে জানালে বিষয়টি জানতে পারি। তারা আমাকে বিষয়টি সমাধান করে দিতে বলেন।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ব্যাটারির পানি পান করে আত্মহত্যার ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দিতে আসেননি।
এদিকে এলাকার ইউপি সদস্য ছাবের আহমদ জানান, থানায় গিয়ে মেয়ের পিতা লাপাত্তা। মামলার ভয়ে শশুর বাড়ির লোকজন লাপাত্তা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ বাড়িতে নেয়ার বিষয়ে কোন সমাধান হয়নি।